তিনি সাক্ষাৎ মা লক্ষ্মী। তাই চিন্তা নেই লাভ-লোকসানের। তিনি মা অন্নপূর্ণাও! বয়স এখন ৮৫। তাও দিনের পর দিন তিনি যুগিয়ে আসছেন বহু অভুক্ত মানুষের মুখের খাবার। এবং মাত্র এক টাকায়! হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখে খাবার তুলে দিতে বহুদিন ধরেই মাত্র এক টাকায় ইডলি বিক্রি করে আসছেন তামিলনাড়ুর কে কমলাথল। এমনকি লকডাউনের এই বাজারেও হাল ছাড়েননি তিনি। লাভ-লোকসানের হিসেব না কষে, এখনও সেই এক টাকাতেই ইডলি তুলে দিচ্ছেন অভুক্ত মানুষগুলির থালায়।
কোয়েম্বাটোরের পঁচাশি বছরের এই বৃদ্ধার কথায়, গত ৩০ বছর ধরেই এই কাজ করে আসছেন তিনি। আগামীতেও এই একই কাজ করে যেতে ইচ্ছুক। করোনার জেরে তামিলনাড়ুতে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে তার খাবার পৌঁছে দিতে তিনি বদ্ধপরিকর। তাই বাড়াননি ইডলির দামও। বরং তিনি যাতে কম দামেই ইডলি-সাম্বার বেচতে পারেন, সেই সাহায্যে বৃদ্ধার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বহু মানুষ। বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাতও।
এত কম দামে বৃদ্ধার খাবার বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রশংসার ঝড় ওঠে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। মুহুর্তে ভাইরালও হয়ে যায় খবরটি। অসহায় শ্রমিকদের প্রতি বৃদ্ধার এই স্বার্থহীন সেবায়, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় নত হন বহু নেটিজেনও। আজকের কঠিন পরিস্থিতিতে কমলাথলের মত মানুষগুলি সত্যিই নজির গড়ে দেখান। আসলে লাভ-লোকসানের হিসেব তো তাঁর কোনও দিনই কষা হয়ে ওঠেনি! আজীবন পণ করেছেন অসহায়দের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার। আজও তাই করে চলেছেন তিনি। কী? খুবই দুর্লভ প্রয়াস তাই না? তা বটে! তবে এই মানুষগুলিই আমাদের সম্পদ। আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথে ভরসা।
Photo courtesy: shethepeopletv
Discussion about this post