বাতাসে এখন পুজোর গন্ধ। আর পুজো মানেই ছুটি পাওয়ার ফন্দি-ফিকির। সারাবছরের যত ক্লান্তি, অবসাদ সবকিছুর মলম যেন এই পুজোর ছুটি। তাই পায়ের তলায় সর্ষে যাদের তারা তো এই হাঁসফাঁসানি জীবন থেকে পালাবার সুযোগ খুঁজবেই। এখন মানুষ কংক্রিটের শহর ছেড়ে একটু সবুজ শান্ত নিরিবিলি জায়গাতেই কয়েক দিন কাটাতে পছন্দ করে, পোশাকি ভাষায় এখন যা অফবিট নামে পরিচিত। তাই পাহাড় প্রিয় মানুষদের জন্য নতুন এক অফবিট গন্তব্য হতে পারে আমাদের শৈলশহরে অবস্থিত ফাজি গ্রাম। টুং এর নীচে ও বেল্টার-এর কাছে অবস্থিত এই সুন্দর সাজানো এক ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম ফাজি।
গ্রামটি পাহাড় ঘেরা তো বটেই, এছাড়াও চারিদিকের শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশে যেন রয়েছে এক মুঠো প্রাণ। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে খরস্রোতা পাহাড়ি নদী। গ্রামবাসীরা নদীটির সুন্দর একটি নামও দিয়েছেন–বেল্টার কা খোলা। এছাড়া দেখার মধ্যে যেটি হতে পারে আকর্ষণের কারণ সেটি হল ভারতের অন্যতম পুরনো ও বৃহৎ পাওয়ার প্লান্ট। তৈরি হয়েছিল সেই ব্রিটিশ আমলে। গ্রামের পরিবেশ এতটাই নির্জন যে অতি সামান্যতম শব্দ-ও আপনার হৃদয়ে স্পর্শ করতে বাধ্য। নদী বয়ে চলার শব্দ, পাখির ডাক গোটা গ্রামকে ঘিরে রেখেছে এক অন্য মায়ায়। আবার এই বর্ষার শেষে কখনো এক পশলা বৃষ্টির ছোঁয়ায় পরিবেশটা ধারণ করে অন্য আরেক রূপ যা না দেখলে বোঝার নয়।
নিউ জলপাইগুড়ি অথবা শিলিগুড়ি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই জায়গাটিতে পৌঁছে যাওয়াও বেশ সহজ। নিউ জলপাইগুড়ি বা শিলিগুড়ি থেকে টুং পর্যন্ত আসতে নিতে পারেন শেয়ার ক্যাব বা রিজার্ভও করে নিতে পারেন সদস্যদের হিসেবে। এরপর সেখান থেকে আরেকটি গাড়ি রিজার্ভ করে ফার্ম হাউস পর্যন্ত আসতে হবে। রয়েছে ফার্ম হাউজ যেখানে থাকা-খাওয়া মিলে মাথা পিছু প্রতিদিন খরচ ১৫০০ টাকা। তাই যারা এমনই এক পরিবেশ খুঁজছেন তাদের জন্য ফাজি হতে পারে সত্যিই এক স্বর্গরাজ্য!
Discussion about this post