কবি বলেই গিয়েছেন, ‘মালঞ্চে আনমনে কেউ গাঁথে মালা…’ আর সে মালঞ্চ হোক বা উদ্যান প্রকৃতি নিজের শোভা বাড়িয়ে চলে ফুলের মাধ্যমেই। নানান রঙের ধারায় সেজে ওঠে প্রাঙ্গণ। তেমনই এক জায়গার খোঁজ রয়েছে কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিমি দূরে। রানাঘাটের চাপড়া, যা কিনা নদিয়ার ‘ফুল উপত্যকা’ বলে পরিচিত।
যতদূর চোখ যায় ফুলের বাগান। বিঘার পর বিঘা জমিতে ফুল চাষ হয় শীতে। এ যেন ঠিক স্বর্গের উদ্যান। চলে আসতে পারেন ছুটির দিন দেখে। কলকাতা থেকে রানাঘাটগামী যে কোনো ট্রেন ধরে নামতে হবে রানাঘাট স্টেশনে। স্টেশনের কাছেই সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে টোটো গাড়ি। সেখান থেকে টোটো করে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবেন চাপড়ায়। তবে এখানে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই।
এখানে এলেই যা প্রথমেই পাবেন মুক্ত প্রকৃতির সান্নিধ্য। কোলাহল থেকে দূরে এ এক অন্য পৃথিবী। রাস্তার দু ধার জুড়ে ফুলের চাষ। এছাড়াও আছে পুকুর, গ্রীনহাউস আর বটের শান্ত শীতল ছায়া। প্রতিদিনই বেশ লোক সমাগম ঘটে। চন্দ্রমল্লিকা, বেবী, গ্ল্যাডিওলাস ইত্যাদি থেকে শুরু করে ডালিয়া, গাঁদা, জবা বিভিন্ন ফুলের বাহারে অপূর্ব মনোরম দৃশ্য। ফুলপ্রেমীদের জন্য এ একেবারে আদর্শ স্থান।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে খুব দূরে না গিয়ে প্রকৃতির কোলে মাথা রাখতে চাইলে আসতেই হবে চাপড়ায়। খরচও স্বল্প। ফটো তোলার আলাদা কোনো মুল্য নেই। শুধু অনুরোধ গাছের বা ফুলের যাতে ক্ষতি না হয়। আমরা আসলে সবটাই কেড়ে নিতে চাই, যা কিছু সুন্দর। কিন্তু মনে রাখতেহবে ফুলের সৌন্দর্য গাছেই। তাই ফুল গাছে হাত দেওয়া এবং ফুল ছেঁড়া সম্পূর্ণরূপে বারণ। ‘বাংলার অপরূপ রূপ’ যেন একেই বলে!
Discussion about this post