দু’দিনের ছুটি হোক বা একটানা বেশ কয়েকদিনের ছুটি, ভ্রমণবিলাসী বাঙালির পরিযায়ী মন চিরকালই বেড়াতে ভালোবাসে। ছুটি একবার পাওয়া মানেই পাহাড়, ঝর্ণা, জঙ্গল বা সমুদ্রে গা ভাসিয়ে দেওয়ার পালা। আর পাহাড় যাদের প্রিয় তাদের জন্য তো উত্তরবঙ্গ স্বর্গেরও অধিক! এই উত্তরবঙ্গের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে অফবিট বিভিন্ন জায়গা। পরিচিতি পাচ্ছে উত্তরকন্যার কোলে লুকিয়ে থাকা চা বাগানগুলোও। এমনই একটি চা বাগান এখন জনপ্রিয় হচ্ছে বাঙালি পর্যটকদের মধ্যে। নাম মিম চা বাগান। দার্জিলিংয়ের সীমানার মধ্যে অবস্থিত মন মাতানো দুই গ্রাম লেপচাজগত ও সুকিয়াপোখরির মাঝখানের এক চা বাগান।
দার্জিলিং- এর খুব কাছেই শান্ত ও নিরিবিল পরিবেশের এক স্বস্তির জায়গা হল এই মিম চা বাগান। এখান থেকে দেখা যায় আমাদের শৈলশহর মায়ায় মোড়া দার্জিলিং। শুধু কী তাই! সূর্যোদয়ের সঙ্গে দেখা মেলে সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘার সেই অপরূপ শোভা। দার্জিলিং টি-র কাপ হাতে নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘার শোভা উপভোগ করতেই তো মানুষ বারে বারে ছুটে যায় উত্তরবঙ্গের এই অফবিট জায়গাগুলোতে। সঙ্গে দুপুরে মিঠে রোদকে সঙ্গে নিয়ে পাইন গাছের জঙ্গলে ভেসে যাওয়ার উন্মাদনা। এ যেন এক অনন্য আমেজের পরিচয়!
প্রকৃতির নিস্তব্ধতাই মিম চা বাগানের সবেচেয়ে বড় সম্পদ। শহুরে কোলাহল থেকে যেন অনেকটা দূরে টেনে নিয়ে গিয়ে আলাদা একটা পরিবেশ উপহার দেয় এই জায়গাটি। এখানে থাকার সুবিধের জন্য সারি দিয়ে রয়েছে হোমস্টে আর কাঠের তৈরি গেস্ট হাউস। প্রকৃতির মাঝে কিছুদিন অনায়াসেই কাটিয়ে দিতে পারেন এখানে। মিম চা বাগানকে ছেড়ে আসতে মন ভার হলে ঘুরে আসতে পারেন সুকিয়াপোখরি, মিরিক, লেপচাজগত থেকেও। এছাড়াও সামনেই রয়েছে রঙ্গিত নদী।
চিত্র এবং তথ্য ঋণ – ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য
Discussion about this post