যেখানেই বাঙালি সেখানেই খাওয়ারের প্রসঙ্গ সর্ব প্রথম স্থান অধিকার করে! খাওয়ার ব্যাপারে এপার এবং ওপার বাংলা মিলে মিশে একাকার। এনাকে পুজো থুড়ি পেট পুজোয় পাতে রাখতেই হবে। এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার মধ্যে অনেক লম্বা ও মজবুত সুতো বেঁধে রেখেছে এই ইলিশ। ইলিশের বিভিন্ন পদের সাথে আমাদের আলাপ হয়ে থাকে সারা বছর ধরেই। বাংলাদেশের মাওয়ার এমনই এক নতুন ইলিশের পদের কথা জানা যাক!
বাংলাদেশের মাওয়া ঘাট বিখ্যাত ইলিশ মাছের জন্য। তার থেকেও বেশি জনপ্রিয় হলো এই ঘাটের ইলিশের লেজের ভর্তা। ঘাটের আসে পাশে গেলেই ইলিশের গন্ধ গোটা ঘাট চত্বর ম’ ম’ করে। ইলিশপ্রেমী বাঙালির জন্য এ যেন স্বর্গরাজ্য! মানুষ বহু জায়গা থেকে আসেন এখানে ইলিশের স্বাদ নিতে। কিন্তু বিভিন্ন পদের মধ্যে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় এখানের এই লেজ ভর্তা। বলা বাহুল্য এপার বাংলার মানুষেরা খুবই কম পরিচিত এই ভর্তার ব্যাপারে। কিন্তু এও এক অনন্য অভিজ্ঞতার রসনাবিলাস বাঙালির! তবে হ্যাঁ শুধু লেজই নয় যে কোনও পছন্দ মতো অংশই আপনি ভর্তা হিসাবে খেতে ভীষণই পরিচিত। অবশ্যই ইলিশ মাছ! লেজ খানা তেলে ভেজে অবশ্যই কাঁটা ছাড়িয়ে নিতে হবে প্রথমে। তাকে মিহি করে পিষতে হবে। এরপরে একে একে সর্ষের তেল, পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনেপাতা কুচি, নুন ইত্যাদি মিশিয়ে নিন। ভালো করে সমস্ত কিছুকে মাখিয়ে নিলেই তৈরি গরম গরম লেজের ভর্তা।
ইলিশে গুঁড়ি রান্নার এমন প্রণালী এপার বাংলার বাঙালিদের কাছে অত্যন্ত নতুন অবশ্যই! কিন্তু এই ইলিশে গুঁড়ি স্বাদে যে একেবারেই অনন্য হবে তা বলাই বাহুল্য। “দিনের বেলায় হিম” পড়ুক না পড়ুক, পাতে এই পদ খানা পেলেই জিভের জল পড়বেই! ইলিশের একই রকম পদের বাইরে গিয়ে চেষ্টা করাই যায় ইলিশের এই নতুন প্রণালী। ওপারের ইলিশের ভর্তার গন্ধ ছড়িয়ে পড়ুক এপার বাংলার মায়েদের হেঁশেলেও!
চিত্র ঋণ – আশরাফুল আলম, প্রথম আলো
Discussion about this post