১৮২৪ এর ২৫ জানুয়ারী তৎকালীন পূর্ববঙ্গের যশোরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মেছিলেন বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা মাইকেল মধুসূদন দত্ত। কবির শৈশব, কৈশোরের গুরুত্বপূর্ণ সময় কেটেছে এই গ্রামে। সেখানকার মানুষ আজও ভোলেনি মধুসূদনকে। প্রত্যেক বছর তাঁর জন্মদিন পালন করে আড়ম্বরের সঙ্গে। মধুর স্মৃতিতে মধুকে খোঁজে। মেলা চলে সাতদিন। কবি, সাহিত্যিকরা জড় হন। তাঁদের কথা শুনতে উপচে পড়ে ভিড়।
১৯৯৪ থেকে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক মধুসূদনের বাড়ি, স্মৃতি রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। এ কারণেই স্রোতস্বিনী কপোতাক্ষের বয়ে চলা ধারাকে মায়ের দুধের সঙ্গে তুলনা করে মধুসূদন রচনা করেছেন বিখ্যাত সনেট ‘কপোতাক্ষ নদ’। কবির স্মৃতির প্রতি সম্মান রেখে যশোর জেলা প্রশাসন আয়োজন করেছে মধু মেলার।
মধু মেলায় দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য মধুমঞ্চে কেশবপুর ও যশোরের শিল্পীগোষ্ঠীর পাশাপাশি দেশবরেণ্য কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের পরিবেশনার পাশাপাশি প্যান্ডেলে সার্কাস, যাদু প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। মেলা নাম যেহেতু “মধু মেলা” তাই মিষ্টি মধুর আয়োজন না থাকলে কি হয়,এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ যশস্বী যশোরের অন্যতম গর্ব ঐতিহ্যবাহী নানা পদের মিষ্টি।বালিশ মিষ্টির কোমল হাতছানিতে সাড়া দিয়ে শীতের বিকেলে চলে আসে হাজারও দর্শনার্থী। প্রতি ২৫ জানুয়ারী কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয় এই মধু মেলা।
Discussion about this post