“ওই বুঝি পুজো এলো, পুজো এলো ওই…” চারিদিকের মেজাজকে বর্ননা করা যায় ঠিক এই লাইনেই। রাস্তা ঘাটে ভিড় উপচে পড়ছে পুজো আসার আনন্দে। জমে উঠেছে কেনাকাটার ব্যাপার। আজকের তথ্য সস্তায় পুজোর শপিং নিয়ে। একেবারে সস্তায় জিন্স প্যান্টের খোঁজ মিলেছে খোদ কলকাতার বুকে। যে জায়গা তথা রাস্তা পরিচিত ‘জিন্স স্ট্রিট’ নামে।
পুরনো জিন্সকে নতুন করে তোলা হয় এই ঠিকানায়। তারপর সেই সমস্ত জিন্স বিক্রির জন্য চলে যায় নানান শপিং মলে। ঠিক মহম্মদ আলি স্ট্রিটের উল্টো দিকে নীল মাধব সেন লেন। গোটা গলি জুড়ে দেখতে পাওয়া যায় দড়ি থেকে ঝুলছে নীল রঙের জিন্স। এখানকার ব্যবসায়ীরা সমস্ত জিন্স বিক্রি করেন গিরিশ পার্কের কাছে। আর এ বিক্রি চলে ভোরের বাজারে। এ গলিতে গেলেই দেখা যাবে হয় কেউ জিন্স সেলাই করছে, কেউ হয়তো জিন্স রঙ করছে।
মহম্মদ শেখ গাজী এ ব্যবসায় রয়েছেন প্রায় ছ বছরের বেশি। তার মতে, এ ব্যবসায় খুব একটা কঠিন কাজ করতে হয় না। আর যে সমস্ত জিন্সকে নতুন করে জোগান দেওয়া হয় তা আসে নানান রাজ্য থেকে। এমনকি আসাম থেকেও এখানে আসে পুরনো জিন্স। এই পুরনো জিন্স গুলো কেনা হয় প্রতি পিস ২০ বা ৪০ টাকা। তারপর সেগুলো ধোওয়ার জন্য খরচ করা হয় মাত্র ১৫ টাকা। কোথাও ছেঁড়া থাকলে তা সেলাই করে এগিয়ে চলে নতুন জিন্স তৈরির পদ্ধতি।
এ কাজে বেশির ভাগ শ্রমিকরা আসে বিহার থেকে। গোটা দিনের কাজের পারিশ্রমিক যদিও খুব বেশি নয়। হাতিবাগান বা ধর্মতলার বাজারে নতুন জিন্স গুলো কিনতে পাওয়া যায়। এমনকি এ জিন্স বিক্রি হয় কেরালা, ঝাড়খণ্ড আর বিহারের মত জায়গাতে। ভীষণ অল্প দামে পুরনো জিন্সকে নতুন করে কিনতে পাওয়া যায়। প্রতি ব্যবসায়ীর প্রায় পনেরো থেকে কুড়ি হাজার টাকা অবধি লাভ হতে পারে। পুজোর আগে এমন বাজার একেবারেই লুফে নেবার মত।
চিত্র ঋণ – This is Kolkata







































Discussion about this post