‘আমড়া’ এই ফলটিও যেমন খুবই অবহেলিত কিন্তু উপকারী তেমনই বিরহড়রাও সমাজে একইভাবে পিছিয়ে পড়া একটি আদিম জনজাতি। তাই এই দুয়ে মিলেই এবার আমার আপনার জন্য তারা বয়ে নিয়ে আসছে নতুন সুখবর, আগ বাড়িয়েই করতে চাইছে উপকার। যাদের ক্রমেই একা করে দিয়েছি এই আমরা তাঁরাই আমাদের উপকারের জন্য বানিয়ে ফেলেছেন আমড়ার আচার।
আমড়া একটি খুবই উপকারী ফল। কিন্তু দামী ফলের ভিড়ে এই ফল খুবই প্রচার বিমুখ। উপকারিতা যাচাই করলে দেখা যাবে দামী আপেলের চেয়েও এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এর পরিমাণ বেশি। এছাড়াও দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া, দাঁতের গোড়া থেকে পুজ ও রক্ত পড়া, প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া, খাবার খেতে অসুবিধা হওয়া, অকালে দাঁত ঝরে যাওয়া ইত্যাদি প্রতিরোধে আমড়ার ভূমিকা অনন্য। বিভিন্ন রকমের ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, সর্দি, কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় আমড়া অত্যন্ত উপকারী।আমড়ার এই উপকারিতা আমাদের কাছে পৌঁছে দিতে সুস্বাদু আমড়ার আচার বানিয়ে ফেলেছেন বিরহড়রা। বাংলায় ‘আচার’ কথার আরেক অর্থ রীতি বা নিয়ম। এই আচারকে তাই তারা সুস্থভাবে বাঁচার নিয়ম হিসেবেও প্রস্তুত করতে চান। নিজেদের গড়ে তুলতে চান স্বনির্ভর হিসেবে। এই লড়াইটা তাই আমি থেকে ‘আমড়া’ হয়ে ওঠার।
এছাড়াও আমড়ায় মেলে এমন কিছু উপকারিতা, যা আপনার জানা প্রয়োজন। • ফল ভিটামিন-সি-সমৃদ্ধ (প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ২০ মিলিগ্রাম পাওয়া যায়)। • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ওজন কমাতে সহায়তা করে। • রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। • অ্যান্টি-অক্সিডেন্টজাতীয় উপাদান থাকায় আমড়া বার্ধক্যকে প্রতিহত করে। • আমড়াতে প্রচুর আয়রন থাকায় রক্তসল্পতা দূর করতে বেশ কার্যকর। • আমড়া খেলে মুখের অরুচিভাব দূর হয়। • মুখের রুচি ফিরে আসায় ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়। • বদহজম ও কোষ্টকাঠিন্য রোধে আমড়া উপকারী। • রক্ত জমাট বাধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। • সর্দি কাশির ক্ষেত্রে এটি বেশ উপকারী। • হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখে।
Discussion about this post