ছোটবেলার টিউশন যাওয়া থেকে বড় বয়সের অফিস! সবক্ষেত্রেই এই বিশেষ পোশাকটির জয়জয়কার। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সুপার হিট আবার বাজেটেও ফিট এই পোশাকটি আমাদের সকলের প্রিয় টি-শার্ট। এ এমন এক পোশাক যাতে না আছে কোন বোতাম লাগানোর ঝামেলা কিংবা পড়ার আগে আয়রন করার ঝক্কি। পাড়ার মোড়ে আড্ডা মারা থেকে শুরু করে যে কোনো ধরনের কাজে শুধু মাথা দিয়ে গলিয়ে নিলেই হল। ব্যস, আপনি একদম রেডি। যা ছোট বড় সব্বার ফেভারিট।
শোনা যায় টি-শার্ট প্রথম নাকি আবিষ্কার হয় ব্যাচেলার পুরুষদের জন্যই। যাদের জামার বোতাম ছিড়ে গেলে বোতাম লাগিয়ে দেওয়ার মতো কেউ নেই তাদের কথা ভেবেই টি-শার্টের আবিষ্কার। তখন এই বিশেষ পোশাকের নাম ছিল ‘ব্যাচেলর আন্ডার শার্ট’। ১৯০৪ সালে বিখ্যাত অন্তর্বাস প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘কুপার’-এর হাত ধরে এই পোশাকটির আত্মপ্রকাশ। যা মূলত ব্যাচেলর তথা সিঙ্গেলদের কথা মাথায় রেখেই প্রস্তুত হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই নাম বদলে ১৯২০ সালে তার নতুন নামকরণ হয় ‘টি-শার্ট’। ‘এফ স্কট ফিজযেরেল্ড’ নামের এক মার্কিন লেখক তার ‘দিস সাইড অব প্যারাডাইস’ উপন্যাসে টি-শার্ট নামটির প্রথম প্রয়োগ করেন। শোনা যায় এক সময় মার্কিন নাবিকদের পোশাকের নিচে আন্ডারশার্ট হিসেবে টি-শার্ট পরা নাকি বাধ্যতামূলক ছিল।
আবার এই টি-শার্টের আবিষ্কার নিয়ে রয়েছে অনেক মতবিরোধ। অনেকের মতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন নৌবাহিনীর ব্যবহারের জন্যই প্রথম টি-শার্ট প্রস্তুত করা হয়। মত পার্থক্য যাই হোক না কেন! সেই সময় টি-শার্টের জনপ্রিয়তা কিন্তু ক্রমেই বাড়তে থাকে। টি-শার্ট মার্কিন গণ্ডি পেরিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এবং ১৯৪০ সালের দিকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে যায়। পরবর্তীকালে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায় টি-শার্ট। আর বর্তমানের কথা যদি বলি তাহলে রোজকার ব্যবহারের পোশাক বলতে আমরা কিন্তু সবার আগে টি-শার্ট কেই চিনি। যেমন আরাম তেমনি ওজনেও অনেক হালকা। এই পোশাকটি যে একবার পড়েছে সে আর ভুলতে পারেনি এটির মহিমা।
Discussion about this post