গুকেশের বিশ্বজয়ের গল্প আজ গোটা দেশের গর্ব। কনিষ্ঠতম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তার সাফল্য, ভারতের মুকুটে যোগ করেছে নতুন পালক। মিডিয়ার কল্যাণে আমাদের কাছে পৌঁছে গেছে তার গ্র্যান্ডমাস্টার হয়ে ওঠার গল্প। পৌঁছে গেছে তার বাবা-মার অভিব্যক্তি, খুশি হওয়া। কিন্তু, এই মিডিয়াই আরো একটি সাফল্যের দিক তুলে ধরতে ব্যর্থ। সে বাঙালি মেয়ে ঋতু মুখার্জি। তার সাফল্যও গুকেশের চেয়ে কম কিছু নয়।
মিডিয়ার আলো পৌঁছয়না সর্বত্র, এই কথা আজ প্রমাণিত। ”ফিন সাঁতার” সম্পর্কে আমরা ক’জনই বা জানি? এই খেলা অসাধারণ শারীরিক ও টেকনিক্যাল ক্ষমতার দাবি করে। দুই পায়ে লাগানো মোনোফিন, বা বাই ফিনের সাহায্যে জলের তলায় সাঁতার কাটা হয়। আর এই বছরেই এই প্রতিযোগিতার জাতীয় মঞ্চে অসামান্য সাফল্য অর্জন করল এক বাঙালি মেয়ে। যিনি এই বছর চারটি সোনা জিতেছেন। কিন্তু, তিনি রয়েছেন সম্পূর্ণ অন্ধকারে।
লেকটাউনে দাদু-ঠাকুমার কাছে বড় হয়েছেন ঋতু। মর্ডান হাই স্কুল থেকে পড়াশোনা করে, বর্তমানে তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার। আর ফিন সাঁতারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি তিনি এক দক্ষ গায়িকা ও কত্থকশিল্পীও। এই বছর সাঁতারের পাশাপাশি সর্বভারতীয় সংগীত ও নৃত্যের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন। এত সাফল্যের পরেও তিনি কিন্তু একেবারেই মাটির মানুষ।
২০০ মিটার, ১০০ মিটার, ৫০ মিটার বাইফিন এবং ৫০ মিটার সারফেস মোনোফিন বিভাগে চারটি সোনা জয় করে, ঋতু প্রমাণ করেছেন তাঁর দক্ষতা। প্রতিদিন লেকটাউন ও সল্টলেকের দুই সুইমিং পুলে টানা প্র্যাকটিস করে, তিনি গড়ে তুলেছিলেন নিজেকে। তাঁর এই সাফল্যের সঙ্গেও নেই কোনো স্পনসর বা মিডিয়ার স্বীকৃতি। ঋতুর গল্প যেন সবার কাছে পৌঁছয়। বাংলার গর্বের এই মেয়ে পান তাঁর প্রাপ্য সম্মান।
Discussion about this post