“হাট বসেছে শুক্রবারে/ বক্সীগঞ্জে পদ্মাপারে…” কবিতার এই লাইন দুটি তো সকলের পরিচিত। আর সেই রকমই একটি হাট আজকের বিষয়বস্তু। অন্য হাটের থেকে একেবারেই আলাদা এই হাট। গাদামারাহাট। উত্তর ২৪ পরগণার বড় জাগুলির কাছেই প্রতি সপ্তাহে বসে এই হাট। এ যে একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামের হাট তা কিন্তু নয়। বলা যেতে পারে এ এক পাইকারি হাট।
হাটের অদ্ভুত নামটাই বুঝিয়ে দেয় তার অন্যরকম হয়ে ওঠার গল্প। এ হাট বেশ অনেকখানি জায়গা জুড়ে বসে। কলকাতা থেকে নদিয়ার দিকে যেতে ১২ নং জাতীয় সড়কের ওপর বিশাল এলাকা জুড়ে এর আধিপত্য। বেচা কেনা জমে ওঠে প্রতি শনিবারে। ট্রাক ভর্তি করে জিনিস আসে। তা বিক্রিও হয়ে যায় দিন শেষে। প্রতি মরসুমের সবজি তো পাওয়া যায়ই। উপরন্তু জুটে যায় অফ সিজনের সবজিও। একেবারে গাদা (অনেক) মেরে বিক্রি চলে বলেই এর নামকরণ এরূপ। শীতে সবজির চাহিদা বাড়ে, সেই সাথে হাট হয়ে ওঠে সরগরম। তবে এখানে সাধারণ খুচরো ক্রেতা কম। ক্রেতাদের বেশিরভাগই পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এ হাটের বিশালত্ব বোঝা যায় তার পাল্লার বহর দেখলে। আর এমন বাটখারা অন্য কোনো হাটে চোখে পড়ে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। পাল্লা রূপে থাকে বিশাল মাপের ঝুড়ি। হাটের মাঝখানে দাঁড়ি পাল্লা খাটাতে প্রায় পাঁচজন মানুষ লাগে। এ পাল্লায় ওজন করা জিনিস থলেতে ধরে না একেবারেই। সরাসরি লোড হয় গাড়িতে। সবজি কেনা বেচার এই বিশাল হাট চাক্ষুষ করতে চলে আসতেই পারেন গাদামারাহাটে।
চিত্র ঋণ – পৃথ্বী কান্ত রায়
Discussion about this post