সন্ধ্যেতে তেলেভাজার কথা বলতে খাদ্যরসিক বাঙালির প্রথম অপশন ‘আলুর চপ’। যার বাজার মূল্য প্রতি পিস ৫ টাকা। তবে এই চূড়ান্ত মূল্য বৃদ্ধির বাজারে এখনও সামান্য দু টাকায় চপের ঠিকানা মিলেছে রানাঘাটে। প্রথমে দাম ছিল এক টাকা। তবে বর্তমানে সামান্য বৃদ্ধি ঘটিয়ে দাম ধার্য করা হয়েছে দু টাকা প্রতি পিস।
শুধু চপ নয়, ওনার দোকানে দেখা মেলে ফুলুরি, বেগুনি ইত্যাদিরও। সে সব কিছুর দামও মাত্র দু টাকা। দামের তুলনায় খাবারের আকৃতি যথেষ্ট নজর কাড়ে। সন্ধ্যায় চপের ব্যবসার পাশাপাশি রানাঘাট হলের সামনে রয়েছে তার লুচি তরকারির দোকান। সেখানেও প্রতি পিস লুচি দু টাকা মূল্যেই বিক্রি করেন তিনি। সকাল থেকে সন্ধ্যে জুড়ে তার এই পরিশ্রমে সামিল হন তার স্ত্রী সবিতা দেবী। দুজন মিলে দুটো ব্যবসা বেশ তাল মিলিয়ে সামলে চলেছেন তারা।
এ ব্যবসার বয়স প্রায় ৫০ বছর। তাই কারোরই অজানা নয় সুবীরবাবুর চপের দোকানের কথা। রানাঘাট দক্ষিণ পাড়ার মোড়ে ছোট্ট একটা টিনের দোকান। তিনি প্রথমে ২৫ টাকা প্রতি পিস দরে বিক্রি শুরু করেন। তারপর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চপের দাম ছিল মাত্র এক টাকা। করোনা পরিস্থিতির পর বর্তমানে তা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদার কোনো ঘাটতি হয়নি তার দোকানের চপের। রোজ প্রায় ২৫০-৩০০ মানুষ ভিড় জমায় তার দোকানে।
সুবীর বাবু যে সময়ে এই ব্যবসা শুরু করেন তখন এলাকায় তেমন চপের দোকান ছিল না। সেই থেকে শুরু তার ব্যবসা। স্বল্প লাভ রেখে বিক্রি বেশি করার চেষ্টায় সুবীর বাবুর এই উদ্যোগ। তাদের তিন ছেলে আলাদা থাকেন। তাই ব্যবসা থেকে যা লাভ হয় তাতে স্বামী স্ত্রী দুজনের চলে যায়। আর সুবীর বাবুর কথায়, তিনি যতদিন ব্যবসা চালিয়ে যাবেন চেষ্টা করবেন এই দামেই চপ বিক্রি করতে। তার জীবনে উচ্চাশা নেই, রয়েছে সন্তুষ্টি।
Discussion about this post