‘প্রাক্তন’ সিনেমায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে বলতে শোনা গিয়েছে, “একটা বার্থ দে, একটা অ্যানিভার্সারি, একটা নাইট আউট আর একটা উইকেন্ড প্ল্যান করতে হবে।” রোজকার চলার পথে কত শত নিয়ম। ঠিক তেমনি একটি মজার নিয়ম আছে দূরতর এক দ্বীপে, যার নাম ‘সামোয়া’।]
দ্বীপটি অবস্থিত প্রশান্ত মহাসাগরের পলিনেশিয়া অঞ্চলে। এখানকার এক অদ্ভুত নিয়ম হলো, স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে যাওয়া একটা অপরাধ বা ক্রাইম। শুনতে হাস্যকর হলেও এটাই সত্যি। এ নিয়মের অন্যথা হলে স্বামীর ঠিকানা সোজা জেল। স্ত্রী যদি অভিযোগ দায়ের করেন তাহলে স্বামীকে হয়তো সম্মুখীন হতে হবে নির্মম শাস্তির। সেখানকার বিবাহিত পুরুষদের জন্য স্ত্রীদের সবসময় খুশি রাখাই শ্রেয়। তাতে যদি জীবনে সন্তুষ্টি থাকে আর কী!
এসব শুনতে যতোটা কঠিন মনে হচ্ছে, আসলে ততটা নয়। আইনী ব্যবস্থাগুলো শুধুই ভুলটা চিনিয়ে দেবার জন্য। প্রথমবার এ ভুল করলে শুধুমাত্র সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়। যাতে পরের বার একই ভুল না হয়। দুর্ভাগ্যবশত একই ভুল আবার হলে জেলের হাওয়া বরাদ্দ। আর স্ত্রীর জন্মদিন ভুলে গেলে জেলে কি আর শাস্তি সম্পন্ন হয়? আসল শাস্তি তো বাড়িতেই। তবে ওই যে, নারী চরিত্র বেজায় জটিল, কিছুই বোঝা যায় না। সে এদেশ হোক আর অন্য কোনো দেশের নারী। তাই শ্রেষ্ঠ উপায় হলো স্ত্রীর জন্মদিন একেবারে মার্ক করে রাখা। মনে রাখা। যাতে কোনো অভিযোগ নেই, আর কোনো শাস্তিও নেই। শুভেচ্ছা আর উপহার পেলেই তারা খুশি।
Discussion about this post