বিরল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে আটটি অঙ্গ হারানোর পরও আবার কাজে ফিরেছেন যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট সাসেক্সের হর্শামের বাসিন্দা ফায়ে লুইস। ২০২৩ সালে তার অ্যাপেন্ডিক্সে একটি টিউমার ধরা পড়ার পর তিনি মনে করেছিলেন, জীবন শেষের পথে। এমনকি শেষকৃত্যের পরিকল্পনাও শুরু করেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকদের দক্ষতায় এবং নিজের অদম্য মনোবলের কারণে তিনি ক্যান্সারকে জয় করেছেন। সম্প্রতি জানা গেছে, ফায়ে লুইস এখন ক্যান্সারমুক্ত এবং গ্যাটউইক বিমানবন্দরে ফ্লাইট ডিসপ্যাচার হিসেবে আবার কাজ শুরু করেছেন। লুইস বলেন, “ডাক্তাররা নিশ্চিতভাবে বলে দিয়েছেন আমার শরীরে আর কোনো ক্যান্সারের অস্তিত্ব নেই। বড়দিনের উপহার হিসেবে এটি ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার।”
জানা গেছে, ২০২৩ সালের বসন্তে ফায়ে লুইসের তীব্র পেট ব্যথা শুরু হয়। তিনি শুরুতে তা পিরিয়ডের ব্যথা ভেবেছিলেন। তবে আল্ট্রাসনোগ্রামে ডিম্বাশয়ে সিস্ট ধরা পড়ে। এ থেকে মুক্তি পেতে অপারেশন করালে তার শরীরে ‘সিউডোমাইক্সোমা পেরিটোনেই’ নামক বিরল এক টিউমার ধরা পড়ে। এটি পেটে জেলির মতো পদার্থ তৈরি করে এবং ক্যান্সার কোষ ছড়িয়ে দেয়। টিউমারটির বিস্তার ঠেকাতে চিকিৎসকদের তার শরীরের আটটি অঙ্গ অপসারণ করতে হয়। এর মধ্যে ছিল প্লীহা, পিত্তথলি, অ্যাপেন্ডিক্স, ডিম্বাশয়, জরায়ু, ফেলোপিয়ান টিউব, নাভি এবং বড় ও ছোট আকারের ওমেন্টাম। এছাড়া লিভারের কিছু অংশ, ডায়াফ্রাম এবং শ্রোণীচক্র থেকেও অংশবিশেষ সরানো হয়।
লুইস জানান, “কাজটি শারীরিকভাবে কঠিন, কিন্তু বিমানবন্দরে কাজ করাটা আমার খুবই পছন্দের। আমি আনন্দিত যে আবার কাজে ফিরতে পেরেছি।” চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রতি বছর নভেম্বরে তাকে শরীর স্ক্যান করাতে হবে। তিনি আরও বলেন, “ফলাফলের অপেক্ষা করা কঠিন হবে। তবে আমি জানি, আমাকে এগিয়ে যেতে হবে। মাঝে মাঝে হতাশার মুখোমুখি হলেও এখন বেশিরভাগ সময় ভালো কাটাচ্ছি। আমি হাল ছাড়ব না।”
Discussion about this post