“সোনার ফসল ফলায় যে তার দু’বেলা জোটে না আহার!” কাস্তেটাকে শান দিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিলের প্রতিবাদে দেশজোড়া বিক্ষোভে সামিল হয়েছে কৃষকেরা। কৃষকদের জন্য আনা এই বিল নিয়ে খুশি নন কৃষকরাই। এই বিলকে চূড়ান্ত ‘কৃষক বিরোধী’ আখ্যা দিয়ে আজ সারা দেশ জুড়েই আন্দোলনে নেমেছেন কৃষকরা। তাদের প্রতিবাদের জেরে ইতিমধ্যেই কেঁপে উঠেছে পুঁজিপতিদের গদি।
হাতে মৃত কৃষকদের মাথার খুলি নিয়ে অকপটে দিল্লির রাস্তায় নেমেছেন চাষীরা। চাষীরা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এই বিলের বিরুদ্ধে। সরকারের এই বিল সম্পর্কে বক্তব্য, এর ফলে নাকি কৃষিকাজ লাভজনক হবে এবং কৃষকের রোজগার দ্বিগুণ হবে। তবে যারা বিরোধিতা করছেন তাঁরা মনে করছেন যে বিপণন পুরোটাই যেহেতু লগ্নিভিত্তিক, এতে কৃষক কোথাও নেই, এর লাভ পুরোটাই উঠবে পুঁজিপতিদের ঘরে।
ভারতের মতো কৃষিপ্রধান দেশে উন্নয়নের সমস্ত নীতি তৈরি হওয়া উচিৎ ছিল কৃষি ও কৃষককে কেন্দ্রবিন্দু করে। দুর্ভাগ্যবশত, স্বাধীনতার পর থেকে সরকারতন্ত্র কৃষককে কেবল নির্দেশ দিয়ে এসেছেন তাঁদের কী করণীয় এবং ভারতবর্ষের অন্নদাতা শুধুমাত্র সেই আদেশ পালন করেছেন মাত্র। ফলে কৃষি অলাভজনক হয়ে পড়েছে , জমি বন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে, খাদ্য বিষে পরিণত হয়েছে। ভূগর্ভস্থ জলস্তর তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, পরিবেশ দূষিত হয়েছে আর কোটি কোটি কৃষক ভূমিহীন, রোজগারহীন হয়ে অস্থায়ী শ্রমিকের কাজ করার জন্য গ্রামছাড়া হতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু এবার ছেড়ে দিতে নারাজ চাষীরা, তাদের বক্তব্য স্পষ্ট, “জান কবুল আর মান কবুল আর দেব না, আর দেব না রক্তে বোনা ধান মোদের প্রাণ হো।”
Discussion about this post