রাজুদার পকেট পরোটা। নামটা নিশ্চয়ই খুব চেনা লাগছে? লাগবেই তো! কারণ, এই পকেট পরোটা আর এই পরোটার সৃষ্টিকর্তা রাজুদা, এখন ট্রেন্ডের শীর্ষে। তার পরোটার দোকানে ভিড় এতটাই যে, বহু মানুষকে পরোটা না খেয়েই ফিরে যেতে হয়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে ফুড ভ্লগারদের ভিড়ও থামার নাম নেই। আর এটাই হয়ে উঠেছে কাল।
ফুড ব্লগিংয়ের কারণে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছেন। সে স্ট্রিট ফুড হোক, বা অন্য কোনো ঝাঁ চকচকে খাবারের রেস্তোরাঁ হোক। ফুড ভ্লগারের দৌলতে এই স্ট্রিট ফুড মালিকদের ব্যবসাও বাড়ে কয়েকগুণ। তবে ভ্লগিং কখনো কখনো সমস্যার সৃষ্টিও করে, কিন্তু তার জেরে কেউ ফুড ব্লগিং নিষিদ্ধ করেছেন, এমন ঘটনা দেখা যায়নি খুব বেশি। শিয়ালদার রাজুদা ঠিক সেটাই করেছেন।
রাজুদার অভিযোগ, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ব্যবসায়ী সমিতি থেকে পার্টি অফিস সকলেই অসন্তুষ্ট। ভোরবেলা থেকে অসংখ্য ভ্লগার এসে ওই অঞ্চলে ভিড় করেন। ভ্যান, ম্যাটাডোর চলাচলে অসুবিধা হয়। আশপাশের দোকানদারেরাও বিরক্ত। এতে রাজুদা আশঙ্কা বেড়েছে। পরোটা বিক্রি করেই তাঁর সংসার চলে। বাড়িতে আছেন মা, বাবা, বউ, আর বোন। ফুড ব্লগিংয়ের কারণে যদি তাঁকে ব্যবসা বন্ধ করে বাড়ি বসে থাকতে হয়, তাহলে তো বড় বিপদ হবে!
প্রথম প্রথম এই ফুড ভ্লগারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন রাজুদা। বলেছিলেন, ৯টার পর সময় দেবেন। তখন ক্যামেরা মুখে নিয়ে তাঁকে ছেঁকে ধরত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ফুড ভ্লগারের দল। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময় দিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। শেষে ভিডিও করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে হয়েছে রাজুদাকে।
Discussion about this post