তিনি হলেন বাঙালির পূজনীয় দেবতা কার্তিক। কার্তিক মাসের সংক্রান্তিতে হয় কার্তিকের পুজো। ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় দক্ষিণ ভারতে কার্তিকের পুজো বেশি জনপ্রিয়। তবে কার্তিক পুজো মানেই বঙ্গবাসীর মনে জ্বলজ্বল করে ওঠে একটি জায়গারই নাম। হুগলির বাঁশবেড়িয়া! বাঁশবেড়িয়া, সাহাগঞ্জ, কেওটা তিন অঞ্চল মিলিয়ে দেখা যায় অসাধারণ আলোক ও মন্ডপ সজ্জায় সজ্জিত মন্ডপ।
হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়াতে খুব ঘটা করেই হয় কার্তিক পুজো। আর শুধু কার্তিকই নয়, পাশাপাশি আরও দেবদেবীর পুজো হয় এখানে। বাঁশবেড়িয়ায় তিনদিন ধরে পুজো হয় এবং একদিন শোভাযাত্রা। এখানকার শোভাযাত্রাও খুব বিখ্যাত, যা দেখতে ভিড় জমান কাতারে কাতারে মানুষ। যদিও কো-১৯ আবহে প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ শোভাযাত্রা। জ্যাঙড়া কার্তিক, রাজা কার্তিক, ধুমো কার্তিক, অর্জুন কার্তিক, জামাই কার্তিক, দেবসেনাপতি বিভিন্ন কার্তিক পুজো হয়। কার্তিক পুজোতেই কি শেষ ভাবছেন নাকি? এই লিস্টি যে আরও লম্বা। কার্তিক ছাড়াও মহাদেব পুজো, নারায়ণ পুজো, সন্তোষী মাতা পুজো, নটরাজ পুজো, রাধাকৃষ্ণ পুজো, গণেশ পুজো এমনকি রাবণ পুজো পর্যন্ত হয় এই কার্তিক পুজোর সময়।
ছোট বড় মিলিয়ে ১০০-র বেশি পুজো হয় বাঁশবেড়িয়ায়। কিছু পুজো প্রায় তিনশো বছরের কাছে প্রাচীন। মা দুর্গা এবং জগদ্ধাত্রীর চলে যাওয়ার বাংলার এই প্রাচীন জনপদের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন কার্তিক ঠাকুরের আগমনের। জমজমাট ঐতিহ্যমন্ডিত কার্তিক পুজো দেখতে একবার ঘুরে আসতেই পারেন বাঁশবেড়িয়া। আলোর রোশনাই, মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমার সাজ। কার্তিক-বন্দনার পালা শুরু হল বলে।
চিত্র ঋণ – শ্রাবন্তী মিত্র
Discussion about this post