সাংবাদিকতা, গনতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। এ স্তম্ভকে ঘিরে যারা রোজ বাঁচেন তারাই যদি চোর হিসেবে ধরা পড়ে তাহলে কেমন লাগে? মানুষের ওপর মানুষের ভরসা দিনদিন উঠে যাচ্ছে। এ ঘটনা অবশ্য সম্পূর্ন অকারণে নয়। চারিদিকে আসল নকলের ধাঁধায় নাজেহাল অবস্থা বেকার যুবক যুবতীদের। ভুয়ো অফিসার ভুয়ো ভ্যাকসিনকে টেক্কা দিয়ে এবার ধরা পড়লো ভুয়ো সাংবাদিক।
খবর করার নামে বরানগরের এক মহিলার থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। নিজেকে একটি জাতীয় চ্যানেলের রিপোর্টার বলে দাবি করেন তিনি। মূলত: উঃ চব্বিশ পরগনার অনেক মানুষকেই বোকা বানিয়ে ধৃত এই ব্যক্তি। ধৃতের নাম অমিতাভ চক্রবর্তী। বেশ কিছুদিন ধরে তার নামে অভিযোগ দায়ের হচ্ছিল। তবে গতকাল একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রথম প্রকাশ্যে এই খবরটি। এরপরেই সাংবাদিক মহলে এ নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। নিজেকে কখনো বরানগর আবার কখনো হুগলির বাসিন্দা বলে জানান তারা। অমিতাভ চক্রবর্তীর দাবি অনুযায়ী তিনি এবং তার স্ত্রী আসানসোলের একটি পোর্টালের রিপোর্টার। সেই পোর্টালের একটি জাল কার্ড ইতিমধ্যেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে অমিতাভ পোর্টালের রিপোর্টার হয়েও এলাকার জেলাশাসক বা পুলিশ কমিশনারের নাম বলতে পারেননি। তার কথায় অসঙ্গতি স্পষ্ট।
শুধুমাত্র অমিতাভ এবং তার স্ত্রীতেই এ ঘটনা থেমে নেই। এ ঘটনার সাথে যুক্ত রয়েছে রীতিমতো এদের তৈরি এক সংস্থা। সংস্থার এক ব্যক্তিকে পুলিশ জেরা করতে গেলে সে জানায়, “কিছু ক্ষমতা থাকলে করে নেবেন।” এই সংস্থা আগেও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমের নথি বা আই কার্ড জাল করে কাজ চালিয়ে যেত। বিশেষ সূত্রের খবর, এ সংস্থা নিজেদের পাকিস্তানের কোনো চ্যানেল বলেও দাবি করেছিলেন। এখন অধীর অপেক্ষা ঘটনার জের ঠিক কতদূর যায়।
Discussion about this post