ঈদের আনন্দ ঘরে ঘরে। নতুন জামাকাপড়, আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা, আর সবচেয়ে বড়ো আকর্ষণ হল ঈদের খাবার। ঈদের খাবারের সাথে মিষ্টি শরবত খাওয়ার রীতি চিরন্তন। বাজারে নতুন নতুন ফলের আগমনের সাথে সাথে গৃহিণীরাও নতুন কিছু শরবত বানাতে চান। আম, লেবু, তরমুজ, পেঁপে ইত্যাদির মতো মৌসুমী ফল দিয়ে তৈরি করা যায় নতুন শরবত। এছাড়াও, দুধ, দই, চিনি, লবণ, এলাচ, জিরা, পুদিনা পাতা ইত্যাদি ব্যবহার করে তৈরি করা যায় সুস্বাদু শরবত। কিন্তু এসব তো প্রায় একঘেয়ে হয়ে গেছে। এবার একটু নতুন ধরনের কিছু বানালে কিন্তু মন্দ হবে না। গরমের দাবদাহে ঈদের আনন্দ যেন অসম্পূর্ণ। তাই ঠান্ডা, মিষ্টি মলিদার শরবতই ঈদের আসল পানীয় হতে পারে। চাল, নারকেল, আদা আর গুড়ের মিশেলে তৈরি এই শরবত শুধু পিপাসাই মেটাবে না, বরং ঈদের আনন্দকে করে তুলবে দ্বিগুণ।
ঐতিহ্যবাহী মলিদার শরবত শুধু পানীয় নয়, ঈদের আন্তরিকতার প্রতীক। তাই প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সকলকে মলিদা শরবত পান করিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিন। চলুন দেখে নেওয়া যাক ঈদের স্পেশাল শরবত মলিদা বানানোর জন্য কী কী উপকরণ লাগবে। প্রায় চার জনের জন্য মলিদা বানাতে আমাদের লাগবে এক কাপ আতপ চাল, ২ টেবিল চামচ কোড়ানো নারকেল, আধ কাপ ভিজিয়ে রাখা চিড়ে। তাছাড়া প্রয়োজন ১ চা চামচ আদা বাটা, লবন (পরিমাণ মতো), দুধ (২ কাপ), ডাবের জল (১ কাপ) এবং আখের গুড়। বাদাম, কিশমিশ সাজানোর জন্য।
একটি পাত্রে সারা রাত আতপ চাল ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভিজিয়ে রাখা চাল বেটে নিন বা ব্লেন্ডারে মিশিয়ে নিন। এবার কোড়ানো নারকেল, ভিজিয়ে রাখা চিড়ে বেটে নিন। এখন একটি পাত্রে চাল বাটা, চিড়ে ও নারকেল বাটা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি পাত্রে দুধ, ডাবের জল, স্বাদ মতো আখের গুড় দিয়ে সেগুলি ভালো করে মিশে না যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। তারপর দুধের মিশ্রণে চাল, নারকেল ও চিড়ের মিশ্রণটি অল্প অল্প করে মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। সবগুলো মিশ্রণ ঢালার পর পরিমাণ মতো লবণ ও আদা বাটা দিয়ে আরও ৫ মিনিট ভালো করে নাড়ুন। আপনি চাইলে ব্লেন্ডারেও ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। এবার গ্লাসে ঢেলে তার ওপর বাদাম, কিশমিশ ছড়িয়ে পরিবেশন করুন সুস্বাদু মলিদা। চাইলে এতে বরফের টুকরো দিয়েও পরিবেশন করতে পারেন।
Discussion about this post