জল থই থই চারদিক হলেও সময়টা পুজোর। বাঙালির আবেগ দুর্গাপুজো। যে পুজো নিয়ে ছন্দ, কবিতা গান কিছুই বাদ যায় না। আর পুজো নিয়ে বেশ পুরনো একটি গান প্রায় সকলেরই পরিচিত। “শুনেছি চৌধুরী বাড়িতে নাকি বসেছে আসর/এসেছে কলকাতার এক নাম করা নাট্য কম্পানি”…
এই চৌধুরী বাড়ির ঠিকানা কি কেউ জানেন?
শহরতলির বিভিন্ন রাজবাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে বাকশার চৌধুরী বাড়ি। হুগলির জনাইতে অবস্থিত এই বাকশার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো চৌধুরী বাড়ির দুর্গাপুজো। এ পুজো অতিক্রম করে এসেছে প্রায় ৩০০ বছর। দূরের নানান প্রান্তের মানুষেরা আসেন এ পুজো দেখতে। এ বাড়ির প্রতিমা হয় একচালা বিশিষ্ট। রাধা-কৃষ্ণ এ বাড়ির প্রধান আরাধ্য দেবতা হওয়ায় গণেশ কার্তিকের ওপরে ওনাদের মূর্তি দেখা যায়। তবে বলির সময়ে যাতে ওনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ না হয় তার ব্যবস্থা করা হয়।
বাড়ির সদর দরজার কারুকার্য অসম্ভব আকর্ষণীয়। এ বাড়িরই শান বাঁধানো পুকুরেই স্নান করানো হয় নবপত্রিকা। বিরাট দালানে তিনটি নাট মন্দিরের বিপরীতে অবস্থিত দুর্গা মন্দির। তবে এ বাড়ির প্রতিমা একটু অন্যরকম। দেবী দশভূজা নন, দেবী এখানে চতুর্ভূজা। চার হাতে থাকে তরোয়াল, ত্রিশূল, ঢাল এবং সাপ। প্রতিটি মন্দিরের কারুকার্য এক কথায় অতুলনীয়। সেই সাথে এ বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা প্রশংসনীয়।
পুজোর দিনগুলোর মধ্যে কোনো একদিন যাওয়া যেতেই পারে বাকশার চৌধুরী বাড়ির পুজো দেখতে। এ বাড়ির আশপাশে আরও অনেকগুলো জমিদার বাড়ির পুজোও রয়েছে দেখার মতো। আর এখানে যাওয়ার রাস্তা ভীষণ সহজ। হাওড়া থেকে কর্ড লাইনের ট্রেন ধরে নামতে হবে জনাই রোড স্টেশনে। তারপর টোটো করে খুব সহজে পৌঁছে যাওয়া যায় চৌধুরী বাড়িতে।
Discussion about this post