দুর্গাপুজো এলেই চন্দ্রমুখীর চৌকাঠে পা পরে পার্বতীর। কিন্তু কেন? বাস্তবতা তো আর দেবদাস সিনেমা নয়। তবু এই এলাকার মাটি ছাড়া গড়া যায় না দুর্গামূর্তি। যে এলাকার নামই নিষিদ্ধপল্লী। আর সবার কাছেই তা পরিচিত পতিতাপল্লী নামে। দিনের আলোয় যে এলাকার ছায়া পাড়ানোও বারণ। তবুও বছরে এই একটা সময়ে দুর্গামূর্তির জন্য কেন আসতেই হয় যৌনকর্মীদের দ্বারে।
মা দুর্গার নবরূপ। আর তাই মা দুর্গার মূর্তি তৈরিতে লাগে নবকন্যার উঠোনের মাটি। সেই মাটি গঙ্গা মাটির সাথে মিশিয়ে তৈরি হয় দেবী প্রতিমা। আর সেই নবকন্যাদের মধ্যে শূদ্রাণী, ধোপানি, ব্রাহ্মণী প্রমুখদের ছাড়িয়ে নবমে আসে যৌনকর্মীরা। তবে কেন এই নবকন্যাদের মধ্যে স্থান পেলো তারা? শুধু আজ নয় সেই প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে এ নিয়ম। এ নিয়ম আসলে নারী শক্তিকে একত্রিত করার। শাস্ত্রে এ নিয়ে আরও একটা মতবাদ আছে অবশ্য। বলা হয়, একজন পুরুষ যৌনকর্মীর ঘরে প্রবেশ করার কালে তার সমস্ত পুন্য পরে থাকে বাইরে। আর অন্যদিকে, একজন পতিতা সেই পুরুষের কাম, লালসা সমস্তই শুষে নেয়। পাপ গ্রহণের মাধ্যমে সে অর্জন করে পুন্য। আর বাইরে পরে থাকা মাটি, তাদের উঠোন তাদের এই গুণেই হয়ে ওঠে পবিত্র। সামাজিক অসুখ সরিয়ে এভাবেই যৌনকর্মীরা হয়ে ওঠেন দেবী।
শাস্ত্রে এ নিয়ে আরও একটা মতবাদ আছে অবশ্য। বলা হয়, একজন পুরুষ যৌনকর্মীর ঘরে প্রবেশ করার কালে তার সমস্ত পুন্য পরে থাকে বাইরে। আর অন্যদিকে, একজন পতিতা সেই পুরুষের কাম, লালসা সমস্তই শুষে নেয়। পাপ গ্রহণের মাধ্যমে সে অর্জন করে পুন্য। আর বাইরে পরে থাকা মাটি, তাদের উঠোন তাদের এই গুণেই হয়ে ওঠে পবিত্র। সামাজিক অসুখ সরিয়ে এভাবেই যৌনকর্মীরা হয়ে ওঠেন দেবী।
Discussion about this post