কয়েকমাস আগের ঘটনা। আপনারা ডেইলি নিউজ রিলের মাধ্যমেই খবরটি পেয়েছিলেন। বছর আঠারোর এক স্কুল পড়ুয়া ছেলে প্রেমে আঘাত পেয়ে আত্মঘাতী হয়। ছেলেটির নাম সংকেত মিস্ত্রী। ছেলের মা মায়া মিস্ত্রি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা মেয়েটির বিরুদ্ধে কেস ফাইলও করেন। এতদূর অবধি সবটা ঠিক ছিল। কিন্তু কথায় আছে দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার। আর সেটাই এখন ভোগ করছেন ছেলে হারা মা।
আরও পড়ুন তরুণের আত্মহত্যা! প্ররোচনায় অভিযুক্ত নাবালিকার অভিভাবকের ভূমিকায় প্রশ্ন! (dailynewsreel.in)
কোর্টে কেস ওঠার পর থেকেই মায়াদেবীকে বারবার কিছুজনের হুমকির স্বীকার হতে হয়েছে। কেস তোলার জন্য তাঁকে যখন তখন বাড়ি বয়ে এসে ভয়ও দেখানো হয়। এমনকি গত ২৪ এপ্রিল তারিখ রাতে ভাঙচুর হয় মায়াদেবীর বাড়ির জানালা, বাল্ব সহ অনেক অংশ। কেস না তুললে কপালে আরও বিপদ অপেক্ষা করছে এমনই বলে পাড়ার কিছু ছেলেছোকরা। এপ্রিলেরই ২৯ তারিখ সন্ধ্যে ৮ টা নাগাদ এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায় মায়াদেবীর ওপর। শক্ত লাঠি দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটানো হয় এবং বুকেও ঘুষি মারে ওই গুন্ডারা। কেস না তুলে নিলে সর্বস্বান্ত করার ভয়ও দেখায় পাড়ার কিছু গুন্ডা। কিন্তু ছেলেকে খুইয়ে বর্তমানে সর্বহারা মায়াদেবী। কোনো অবস্থাতেই অভিযোগ সরাবেন না এমনই দাবি মায়া দেবীর। ইতিমধ্যেই তাঁর অভিযোগ পুলিশ ৩০৭ ধারায় এফআইআর নিতে চায় নি। কাজেই তিনি বাধ্য হয়েই পুলিশ কমিশনার দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে আসেন। তদন্তকারী অফিসার আব্দুল হামিদ মোল্লা গতবারের মতোই এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন।
মায়াদেবীর একমাত্র ছেলে ছিল সংকেত। তিনি মনে করেন ছেলের সাথে প্রেমের নাটক করে একরকম আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে অভিযুক্ত। নাবালিকা হলেও তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন মায়াদেবী। তাঁর একমাত্র ছেলের মৃত্যুর জন্য যোগ্য ন্যায় বিচার এখনও দাবি করেন তিনি।
Discussion about this post