বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু স্বাগত জানাল করোনা রোগীদের ওপর ডেক্সামেথাসন ওষুধের প্রাথমিক পরীক্ষাকে। ইংল্যান্ডে অতি সম্প্রতি করা এই ওষুধের ট্রায়ালে সাড়া দিয়েছেন আইসিসিইউ-তে থাকা কোভিড – ১৯ ভাইরাসে আক্রান্তরা। তবে আশ্চর্যের বিষয়, শুধুমাত্র ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রেই এই ওষুধে মিলেছে সাড়া। যারা সদ্য আক্রান্ত হয়েছেন এই মারণ রোগে অথবা যাদের আক্রান্ত হয়েও শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর নয় তাঁদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ একেবারেই কাজ করেনি। বলা বাহুল্য, করোনার ক্ষেত্রে এই ওষুধকে এখনও টপকাতে হবে বেশ কয়েকটি হার্ডল। হু’র ডিরেক্টর জেনারেল ডঃ টেড্রস আধানম ঘেব্রেসাস এই প্রাথমিক সাফল্যের জন্য ব্রিটিশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ডেক্সামেথাসন মূলতঃ ছয়ের দশক থেকেই স্টেরয়েড হিসেবে ব্যবহার করা হত। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের প্রদাহ কিংবা পচনে যেমন এই ওষুধ কার্যকরী ছিল, তেমনই ক্যান্সারের ওষুধ হিসেবেও ভূমিকা ছিল ডেক্সামেথাসনের। এরই ফল স্বরূপ ১৯৭৭ সালে হু’র আদর্শ অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকায় নাম লেখায় এই ওষুধটি। এই মুহূর্তে বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনা প্রতিষেধকের তৈরির গবেষণা। সেই যুদ্ধের সৈন্য হিসেবেই জুড়লো আরও একটি নাম, ‘ডেক্সামেথাসন’।
Discussion about this post