সারাজীবনের বঞ্চনা কি কখনো হয়ে উঠতে পারে বাঁচার শক্তি? ভাবতে গিয়ে মাথায় চাপ পড়লেও এমনটাই হয়েছে বর্তমানে। নদিয়ার একটি ছোটো মফস্বল পায়রাডাঙ্গার ছেলে প্রত্যয় ঘোষ। বর্তমানে সদ্য যে পদার্পণ করেছে বিনোদন জগতে। পায়েল সরকার, বিশ্বনাথ বসু, চুমকি চৌধুরী অভিনীত ‘কুলপি’ ছবিতে আজ সে মুখ্য ভূমিকায়। প্রত্যয় ছোটো থেকেই বামনত্বের শিকার। তবে তা যেন শাপে বর হয়েছে। তার এই স্বল্প উচ্চতাই তাকে পাইয়ে দিয়েছে নায়কের ভূমিকা। “হুবহু তার সাথেই মিলেছে এই চরিত্র” এটাই বলেছে প্রত্যয়।
এ পথে এগোতে যে খুব বাঁধা কাটিয়ে আসতে হয়েছে তাকে এমনটাও নয়। অভিনয় নিয়ে তার শখ ছিল অনেকদিনেরই। নৈহাটির একটি থিয়েটার গ্রুপ থেকে অভিনয়ের সূচনা। তারপর অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা আরও গভীর হয় তার। তার মূল যাত্রা শুরু হয় ডি. বি ক্রিয়েশনের হাত ধরে। তারপর সেখান থেকেই পরিচালক বর্শালীর হাত ধরে তার প্রবেশ ‘কুলপি’ সিনেমায়। প্রত্যয় এও জানিয়েছে, ‘বর্শালী দি না থাকলে তার এই স্বপ্ন পূরণ হয়তো কোনোদিন হতো না’।
বিনোদন জগত চেষ্টা করে বেশিরভাগই হয়তো সুযোগ পেয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে পায়রাডাঙ্গার প্রত্যয় এখন অভিনয়প্রেমী ছেলে মেয়েদের অনুপ্রেরণা। নতুন স্বপ্নের উচ্ছ্বাস আর অদম্য চেষ্টা বোধহয় কাউকেই আটকে রাখতে পারে না। ইচ্ছে পূরণের জন্য মূল লক্ষ্যে স্থির থাকাটাই জরুরি। সে দিক থেকে সমাজের পিছুটান, টিটকিরি ইত্যাদি কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জেদ সত্যিই অনবদ্য।
Discussion about this post