দু’হাজার বিশের প্রথম সকালটা সবাই নতুন উদ্যমের সাথে শুরু করেছিল। যদিও ক্রমশঃ প্রকৃত অর্থেই তা বিষে পরিনিত হতে শুরু করে। তচনচ হতে শুরু করে বহু মানুষের স্বপ্ন। একটা ক্ষুদ্র কিন্তু ভয়ঙ্কর ভাইরাস গ্রাস করতে থাকে মানুষের সুস্থ জীবনযাত্রাকে। হতাশায় ডুবতে থাকে প্রত্যেকের জীবন। মৃত্যুমিছিলে বহু মানুষ হারিয়েছে তার আপনজনকে। দিন মজুরেরা হারিয়েছে জীবিকা, আমফান কেড়ে নিয়েছে কতো মানুষের মাথার ছাদ। সুদীর্ঘ লকডাউনে কত মানুষ খুইয়েছে তাদের কর্মসংস্থান।
অনেক খারাপের সাক্ষী এই বছর। কিন্তু প্রকৃতির এই কঠিনতম পরীক্ষা তো আমাদের উতরাতেই হবে। হয়তো এই সালটা ছিনিয়ে নিয়েছে অনেক কিছু কিন্তু আবার শিখিয়েও গিয়েছে অনেক কিছু। এখন জীবন খানিকটা স্থিতিশীল। কিন্তু বছর শেষেও একটা জিনিস অব্যাহত। তা হলো চাষিদের বেঁচে থাকার লড়াই। দেশের কৃষকেরা আন্দোলনরত কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে, তাদের অস্তিত্ব রক্ষার তাগিতে। তবে থেমে গেলে কিংবা হেরে গেলে চলবে না, কারণ এগিয়ে যাওয়ার নামই তো জীবন। হতাশ না হয়ে বরং ভেবে দেখা যাক আমরা এই বছর থেকে কী শিখলাম? অবশ্যই দেওয়ালে পিঠ থেকে গেলে হাতে হাত রেখে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র। অবশ্যই পেয়েছি লকডাউন চলাকালীন সাধারণ মানুষের উদ্যোগে হওয়া ‘পিপলস কিচেন’। একদম ছাত্র-গবেষকদের হাত ধরে এই বাংলা পেয়েছে ‘পৃথিবীর পাঠশালা’। কাজেই আশা রেখেই শুরু হোক আবারও একটা নতুন অধ্যায়। ডেইলি নিউজ রিলের তরফেও শুভ কামনা রইলো আগামীর জন্য। নতুন দশক হোক লিঙ্গবৈষম্যহীন এবং জাত-পাত-বর্ণ-ধর্ম ভেদাভেদবিহীন।
Discussion about this post