“পাখিদের ঐ পাঠশালাতে কোকিল গুরু শেখায় গান।” পাখিদের গান শুনতে কে না ভালোবাসে? প্রকৃতি মায়ের কী অনন্য সৃষ্টি। নানা রং এর সুন্দর পাখি, তাদের নানা রকম ভাষায় গান। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন কারণে বহু পাখিদের অস্তিত্বই সংকটে। পাখিদের এই সংকটের দিনেই পাশে দাঁড়িয়েছেন কুমিল্লার এক মানুষ। তাঁর পাখিদের প্রতি ভালবাসা মানুষ এবং অবলাদের মধ্যে তৈরি করেছে এক অদ্ভুত বন্ধন।
বাংলাদেশের কুমিল্লার রামপুর গ্রামের কৃষক রিপন। তিনি পিতার মতো পালন করে চলেছেন প্রায় ৪০০ বাবুই পাখিকে। সেই গ্রামেই এক তাল গাছে ছিল সেই বাবুইদের বাস। সম্প্রতি কোনও কারণে গাছটি বিক্রি করা হয়। তা জানতে পারার পরে রিপন বুঝতে পারেন বাবুই পাখিরা শীঘ্রই ঘর ছাড়া হতে চলেছে। এই গাছে রয়েছে তাঁদের ২০০ টি বাসা। রিপনের জমি ছিল সেই তাল গাছেরই পাশে। রিপন সিদ্ধান্ত নেন যে তিনিই এই গাছটিকে কিনে নেবেন। প্রকৃত অর্থেই দেখা যাচ্ছে তাঁর অবলাদের প্রতি ভালোবাসার নমুনা। তিনি এও বলেন, যতদিন সেই গাছে বাবুই পাখিরা বসবাস করবে ততদিন তিনি গাছের খেয়াল রাখবেন। শুধু গাছই নয় পাখিদেরও দায়িত্ব তাঁর।
আমরা জানি, বাবুই পাখিদের কারিগরির কথা। তাঁদের বাসা বুননের অভিনবত্ব মুগ্ধ করে সকলকে। সঙ্গে তাঁদের ডাক আরও এক উপহার। রাস্তার ওপর গাছে পাখিদের এই সংসার সবাইকেই অবাক করে! মানুষ সামাজিক জীব, আমাদের কর্ম ক্ষমতাও বেশি। তাই আমাদের সকলেরই উচিত অবলা জীবেদের পাশে থাকা। রিপনের পাখিদের প্রতি পিতৃত্ববোধই বুঝিয়ে দেয় প্রকৃতি এবং আমরা একে অন্যের পারিপূরক।
Discussion about this post