কোভিডের ফলে জীবনযাত্রা টালমাটাল হয়ে পরেছে সকলেরই। দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি দশায় ছাত্রছাত্রীরা এমনিই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আছে। এরই মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা ছাত্রছাত্রীদের মানসিকভাবে আরো বিপর্যস্ত করে তুলছে। ঠিক এমনটাই অভিযোগ। যার জেরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা।
হিসেব মতো একটি সেমিস্টারের সময় হল পাঁচ ছয় মাস। অভিযোগ দেড়-দুই মাসেই গোটা সিলেবাস শেষ করে ছাত্রছাত্রীদের পিডিএফ পাঠিয়ে দায়িত্ব সেরে ফেলা হচ্ছে। ল্যাব, লাইব্রেরি এবং অন্যান্য সুবিধাগুলোও তারা সঠিকভাবে পাচ্ছে না। অফলাইন পরিক্ষার নিয়ম অনুসারে ছাত্রছাত্রীদের অন্ততঃ এক-দেড় মাস আগে জানানো হয়। কিন্তু আগামী মাসের ৩ তারিখ মিটিং ডেকে অফলাইন পরিক্ষার কথা সরাসরি জানানোর পরিকল্পনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পরে থাকবে সময় দিন দশ। তারা না করতে পারবে সঠিকভাবে পরিক্ষার প্রস্তুতি, না নিতে পারবে মানসিক প্রস্তুতি। ফলে পড়ুয়ারা একেবারেই হয়ে পড়েছে দিশাহীন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আন্দোলনরত ছাত্রের সঙ্গে কথা বলল ডেইলি নিউজ রিল। তিনি জানালেন, গত শনিবার তারা প্রথম বিক্ষোভ করেন এবং আজ বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিন। শান্তিপূর্ণ ভাবেই তারা বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। ছাত্রছাত্রীদরা নিজেদের অসুবিধার কথা জানিয়ে তাদের দাবি কলেজ কতৃপক্ষকে ই-মেল মারফত পাঠিয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উল্টে তাদের হুমকি দেয়। ফলে তারা এই আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছে। এভাবে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছে বলে জানায়। জানা গিয়েছে, তাদের আন্দোলন এখন চলবে যতক্ষণ না তাদের অসুবিধার দিকগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
Discussion about this post