এই তো সেদিনের কথা সমকামী প্রেমকে আইনি স্বীকৃতি দিল দেশের শীর্ষ আদালত। আপাতভাবে মনে হল অবশেষে বিচার মিলল ‘ভালোবাসার’। রামধনু রঙে সেজে উঠল সাদা-কালো জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার সমাজ। কিন্তু তারপরেও কি সত্যিই মিলেছে তাদের ‘আজাদি’? বরাবরই ভালোবাসায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে লিঙ্গ। এবার এই গড্ডালিকা প্রবাহকে উপেক্ষা করেই এক সমকামী দম্পতিকে একসাথে থাকার, একসাথে বাঁচার অনুমতি দিল ওড়িশা হাইকোর্ট।
২০১১ সালে রেশমির প্রেমে পড়েন চিন্ময়ী জেনা ওরফে সোনু কৃষ্ণ জেনা। সেদিন থেকেই স্বপ্ন একটাই ‘একসাথে বাঁচা’। কিন্তু সেই রাস্তা এত সহজ হল কই! আবারো ভালোবাসায় বাদ সাধল রেশমির পরিবার। তবে সোনুও ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন। অধিকার বুঝে নেওয়ার জেদে আদালতের দারস্থ হন সোনু। রেশমির পরিবারের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন দায়ের করে সোনু জানান, ২০০৫ সালের গার্হস্থ্য হিংসা আইনে লিভ -ইন সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাই তাদের একসঙ্গে থাকা আটকানো যায় না কোনোভাবেই তা সে যে লিঙ্গেরই হোক না কেন।
উভয়পক্ষের যুক্তি শোনার পর অবশেষে ওড়িশা আদালতের রায় হয় ভালোবাসার পক্ষেই। আইনী ব্যবস্থার উপর প্রতিনিয়ত আস্থা হারানোর সময়ে ওড়িশা আদালতের এই যুগান্তকারী রায় যেন খানিক আশা জোগালো গোটা দেশের এলজিবিটি-গোষ্ঠীর বুকে। পাশাপাশি যুগলের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এই মামলার অন্যতম প্রধান বিচারপতি এস কে মিশ্র জানান, “মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের পূর্বোক্ত অনুমোদন অনুযায়ী কোনোও ব্যক্তি লিঙ্গ নির্বিশেষে তার পছন্দের যেকোনো ব্যক্তির সঙ্গে স্বেচ্ছায় লিভ-ইন করতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই নিজেদের লিঙ্গ নির্ধারণ করার অধিকার রয়েছে।”
Discussion about this post