স্থাপনার দিক দিয়ে কলকাতার প্রাচীনতম গির্জার কথা আমরা জানি, যেটা হলো আর্মানী চার্চ। কোলকাতায় যখন মিশনারিরা ধর্মপ্রচার শুরু করেন, তখন প্রচুর বাঙালিরা খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। এনারা ইংরেজিতে অতটা সড়গড় ছিলেন না, সেজন্য তাদের ধর্মচর্চার জন্য প্রয়োজন ছিল একটা বাঙালি চার্চের। তাই বর্তমান ৪৯, রিপন স্ট্রিটের ঠিকানায় ১৮২১ সালে প্রতিষ্ঠা হয় এই চার্চের। এটি কলকাতার প্রাচীনতম বাঙালি ব্যাপ্টিস্ট চার্চ।

গির্জার নামটা একটু অদ্ভুত। এর কারণ হলো, এই অঞ্চলের পুরোনো নাম ছিল কলিঙ্গ, তাই সেই নামেই চার্চের নাম। এছাড়াও চার্চের পুরোনো কাগজপত্র থেকে একটা তথ্য পাওয়া যায়, এই জমিতে আগে ছিল একটা ঘোড়ার আস্তাবল, যার দেখভাল করতো কিছু উড়িষ্যাবাসী লোকজন।

অন্যান্য ব্যাপ্টিস্ট গির্জার মতো এটিও আড়ম্বরহীন। গির্জার প্রধান প্রবেশদ্বারের ওপরে শুধু পবিত্র ক্রুশ আঁকা আছে। প্রার্থনাঘরের ভিতরেও বেদির বদলে একটি মাত্র পুলপিট রয়েছে। এখানে প্রার্থনা হয় বাংলায়, আর ভক্তসংখ্যা মোটামুটি ২০০ জন। এনারা কিছু সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজও করে থাকেন।

Discussion about this post