ফুচকা আর বাঙালির সম্পর্কটা খানিক পেনসিল আর তার সঙ্গী রবারের মতো। একে অপরকে ছাড়া যেন অচল। আমরা ফুচকাপ্রেমীরা আনন্দে আবার কখনো মন খারাপেও ফুচকা খেয়ে থাকি। বিকেলের ওই ঠকঠক করে বেজে ওঠা শব্দটা বাঙালিকে যেন জব্দ করে রেখেছে। তাই একটা ফাউয়ের আশায় আমরা বোধহয় ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করতেও রাজি। তবে শুধু বাঙালি নয়, এমন অনেক রাজ্য আছে যেখানকার মানুষ ফুচকার প্রতি একটা অদ্ভুত টান অনুভব করে। রেস্তোরাঁটির নাম হল ‘চায়-পানি’ যেটা অবস্থিত অ্যাশভিল, উত্তর ক্যারোলিনাতে। ইন্দো-আমেরিকান শেফ, মেহেরওয়ান ইরানি, এই রেস্তোরাঁটি প্রতিষ্ঠা করেন।
মেহেরওয়ান লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তবে ছোটোবেলা থেকেই তিনি আহমেদনগরে থাকতেন তার পরিবারের সাথে। ভারতে পাওয়া যায় এমন নানান রকমের সুস্বাদু খাবার বিদেশের মানুষকে উপহার দিয়েছেন তিনি। তারই মধ্যে অন্যতম প্রিয় খাবার ফুচকা বা পানিপুরি যা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মেহেরওয়ান ইরানির হাত ধরে বিদেশের মাটিতে। তার ফুচকার ঝুলি থেকে রোজ তিন থেকে পাঁচ হাজার ফুচকা বিক্রি হয়ে থাকে। মেহেরওয়ান ইরানির সহধর্মিণী মলি ইরানিও এই রেস্তোরাঁর সাথে যুক্ত। বর্তমান সময়ে বিদেশের অনেক মানুষের প্রিয় রেস্তোরাঁ হয়ে উঠেছে এই ‘চায়-পানি’।
শুধু ‘চায়-পানি’ই নয় আরও অনেক রেস্তোরাঁ; বাতিওয়ালা, বাক্সটন হল বার্বিকিউ, বাক্সটন চিকেন প্যালেসের মতো জনপ্রিয় রেস্তোরাঁর কর্ণধার তিনি। এমনকি মেহেরওয়ান ইরানি জিতেছেন জেমস বিয়ার্ড ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ডস (জেবিএফএ) আমেরিকার সবচেয়ে অসামান্য রেস্তোরাঁর পুরস্কার। তাহলে ফুচকার টানে এইবার এদেশের মানুষ যদি বিদেশে যায় তাতে আর অবাক হবেন না যেন।
Discussion about this post