শক্তি চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন “মহীনের ঘোড়াগুলি ঘরে ফেরে নাই।” অশ্বমেধের ঘোড়ার যেমন পৃথিবী জয় না করে ঘরে ফেরার জো নেই তেমনই ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র কোনোও ঘোড়াই মাঝপথে হাল ছেড়ে ঘরে ফিরতে পারেননি। তাই-ই একটা যুগ শেষ হতে না হতেই নতুন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন রূপে মহীনের আদি ঘোড়া তাপস বাপি দাসের হাত ধরে তৈরি হয় ‘মহীন এখন ও বন্ধুরা’। আর ‘মহীন এখন ও বন্ধুরা’র জন্মদিন উপলক্ষেই গত ১২ সেপ্টেম্বর ডিজিটালি মুক্তি পায় এই ব্যান্ডের সিঙ্গল অ্যালবাম ‘বনপাখি’। মৌলিক বাংলা সঙ্গীতশিল্পী ক্যাকটাসের সিধু এই অ্যালবামটির শুভ উদ্বোধন করেন।
‘মহীন এখন ও বন্ধুরা’র ফেসবুক পেজ থেকে গত ১২ সেপ্টেম্বর অ্যালবামটি দেখে মুক্তির আলো। প্রায় দীর্ঘ ৫০ বছর মহীনের ঐতিহ্য বহন করে এসেছেন তাপস বাপি দাস। মহীনের সেই লড়াইয়ের আগুনই তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন এখনকার প্রজন্মের মধ্যে। ডেইলি নিউজ রিলের তরফে ‘বনপাখি’ গানের গীতিকার তথা ‘মহীন এখন ও বন্ধুরা’র অন্যতম স্তম্ভ তাপস বাপি দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তাঁর অনুভূতির কথা। ‘মহীন এখন ও বন্ধুরা’ আজও ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’কেই পথিকৃৎ হিসেবে মানে। করোনা পরিস্থিতির কারণেই এই গানকে ডিজিটালি প্রকাশ করা হয়। এই গানে সুর দিয়েছেন সুমন মিকি চট্টোপাধ্যায়, গীটারে ছিলেন সুদীপ নাগ। এছাড়াও তালবাদ্যের দায়িত্বে ছিলেন নীল রায়চৌধুরী, কীবোর্ডে প্রসেনজিৎ পাল, বেসগীটারে ভাস্করজ্যোতি সাহা। এই গানের রেকর্ডিং ইঞ্জিনিয়ার গৌরব রায়, মিক্সিং এবং মাস্টারিংয়ের বলিষ্ঠ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন সৌমিক গুহ রায়। প্রচ্ছদ লিখনে নতুনত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন বিভাস দাস। মিউজিক হাউস স্টুডিও থেকে এই অ্যালবামটি রিলিজ হয়। অ্যালবামটি নিবেদন করছে শ্রীনিবাস মিউজিক।
গান প্রকাশের পর ইতিমধ্যেই উচ্ছ্বসিত মহীনের ভক্তরা। স্পটিফাই, গানা, ই-টিউন্স, অ্যামাজন মিউজিক, গুগল প্লে স্টোর সহ একাধিক ডিজিটাল মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে বনপাখি। ‘বন্ধুর হেঁশেলের’ ঠিকানা খুঁজতে তাই শুনে ফেলুন ‘মহীন এখন ও বন্ধুরা’র নতুন গান বনপাখি।
Discussion about this post