ঘুরতে কে না ভালোবাসে? নিত্যদিনের কাজ থেকে ছুটি মিললেই মন বলে, “যাওয়া যাক?” তবে বোজি কিন্তু একটু আলাদা। প্রতিদিন সে ঘুরে বেড়ায় নিজের ইচ্ছেতে, নিজের পছন্দের সব জায়গায়। অফিসযাত্রা তার কাছে বড্ড ‘ওভাররেটেড’! হবে না কেন বলুন তো? সে তো এক মিষ্টি সারমেয়। নিজের মতো করে ঘুরে বেড়ায় সারাদিন। ব্যাপারটা কি লোভনীয় বলুন দেখি! আমাদের এখন ঘুরতে যেতে হলে হাজারটা ভাবনা, হাজার রকমভাবে ভাবতে হয়। আর বোজির ভাবনা বলতে শুধু, “আজকে কোথায় যাওয়া যায়?”
এবার আসি এই বোজির পরিচয়ে। তুরস্কের ইস্তানবুল শহর। এই ইস্তানবুলবাসীর অতি প্রিয় সারমেয় বোজি। বোজির কিন্তু প্রচুর ভক্তও রয়েছে। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটারে বোজির রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার ভক্ত। হিংসে হচ্ছে? হওয়াটাই স্বাভাবিক। তারাই নানা সময়ে বোজির ভ্রমণ বৃত্তান্ত তুলে ধরে আপামর বিশ্ববাসীর কাছে। অবাক লাগছে তো? এখনও অবাক হওয়া অনেকটা বাকি। কখনও বোজিকে দেখা যায় চলমান সিঁড়ি দিয়ে সুন্দর ভাবে নীচে নেমে, মেট্রো স্টেশনে মেট্রোর জন্য অপেক্ষা করতে। আবার কখনও দেখা যার ফেরিঘাটে দাঁড়িয়ে থাকতে। অনেকসময় আবার বোজি উদাস হয়ে ট্রেনের জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখে।
বোজির এই ভ্রমণে মুগ্ধ ইস্তানবুলের বাসিন্দারা। বোজির ঘুরে বেড়ানোতে মুগ্ধ হয়ে তার নামে ফেসবুক, টুইটারে অ্যাকাউন্ট খুলেছে খোদ ইস্তানবুল পৌরসভা কতৃপক্ষ। তাদের মতে, প্রতিদিন প্রায় ৩০ কিলোমিটার যাতায়াত করে বোজি। দিনে অন্তত: ২৯ টি মেট্রো স্টেশনে দেখা যায় তাকে। ভাবতে ভালো লাগে, মানুষের এই ইঁদুর দৌড়ের জীবনে বোজি এক ‘ইন্সপিরেশন’। বর্তমানে প্রযুক্তির দৌলতে আমরা মনোরম দৃশ্য কেবল মোবাইল ফোনেই দেখি। চারপাশটা দেখার সময় কোথায় আমাদের? বোজি কিন্তু তার ভ্রমণের মধ্য দিয়ে বলছে, “সময়ের অজুহাত দিও না বন্ধু, জীবনকে করো উপভোগ! ৯টা -৬টার অফিস জীবনে, ভ্রমণ হোক পরিপূরক।”
চিত্র ঋণ – সিএনএন
Discussion about this post