জমিয়ে পরা শীতের এমন দিনে নির্দ্বিধায় যা জড়িয়ে নিতে ইচ্ছে করে তা হচ্ছে কম্বল। এই কম্বল ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচিয়ে তুলছে আমাদের। তবে শুধু তাই-ই নয় কম্বলের জন্য খিদে মিটিয়ে বেঁচে থাকছে অনেক প্রাণ। সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের কম্বল পল্লী। সরগরম হয়ে উঠছে শীতের দিনে। এ এক অনন্য কর্মসংস্থান। দিন দিন চাহিদা বাড়ছে কম্বলের। রাতদিন ব্যস্ততায় দিন কাটছে কম্বল তৈরির কারিগরদের।
এ ব্যবসার বয়স প্রায় দুই যুগেরও বেশি। কাজিপুর উপজেলার শিমুলদাইড়, ঢেকুরিয়া, কুনকুনিয়া, ছালাভরাসহ বেশ কিছু গ্রামে গড়ে উঠেছে কম্বল তৈরির কারখানা। এদিকের কারখানাগুলোর এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রঙিন কম্বল তৈরি। ছোট ছোট নানান রঙের কাপড় কেটে সেলাই করে তৈরি হয় বাহারি কম্বল। প্রায় ৫০০ কারখানা জুড়ে তৈরি হচ্ছে নানান রকমের কম্বল। শীতকাতুরে মানুষদের জন্য এ একেবারে সঠিক ঠিকানা।
একদিকে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। অন্যদিকে সিরাজগঞ্জে ভিড় বাড়ছে পাইকারি ক্রেতাদের। দামে কম আর মানে ভালো হওয়ায় এর চাহিদা দেশজুড়ে। ব্যবসায়ীরা জানান কেনা বেচা বেশ ভালোই জমে ওঠে। ব্যবসার পসার বেশ ভালোই। শুধুমাত্র ব্যবসা হিসেবে দেখলে ভুল করা হবে। এ কারখানা গ্রামের নারীদের জন্য এক অন্যতম কর্মসংস্থান। সংসারে কাজের ফাঁকে বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন তারা। বর্তমানে এ শিল্পে প্রায় ২০ হাজার পুরুষ ও নারী কর্মরত।
এ শিল্প আদায় করে নিয়েছে নিজের আদর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুখময় সরকার জানান, কম্বল শিল্পের প্রসারে কারিগরদের দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। এ ছাড়াও ব্যবসায়ীদের সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হবে। একটি শিল্প টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব সকলের। কাজিপুরের পাইকারি এই কম্বলপল্লিতে সর্বনিম্ন ১৩০ টাকা ধার্য হয় কম্বলের মূল্য। আর সর্বোচ্চ ৪ হাজার টাকা। চাহিদার তাগিদে দিনে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার কম্বল বিক্রি হয় বলে জানা গিয়েছে।
Discussion about this post