‘ঠুকরাকে মেরা পেয়ার মেরা ইন্তেকাম দেখেগি’। প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে বলিউডের হিরোর প্রতিশোধ দেখেছিল গোটা দেশ। সেবার ছবির নাম ছিল ‘শাদি মে জরুর আনা’। কিন্তু এবার আর পর্দার রিলের লাইফ নয়, এক্কেবারে রিয়েল গপ্প। এবার সুরেন্দ্র বর্মা নামক এক চা ওয়ালার অভিনব ‘বেওয়াফাই’ এর সাক্ষী অযোধ্যা।
বর্তমানে রাম মন্দির নিয়ে চর্চার তুঙ্গে অযোধ্যা। গত ২২ জানুয়ারি মন্দিরে শ্রী রামের মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর কার্যতই ঢল নেমেছে ভক্তদের। আর সেখানের এক গলিতেই চলছে এই অদ্ভুত প্রতিশোধের খেলা। গল্পের শুরু বছর তিনেক আগে। স্কুলে পড়তে পড়তেই এক কিশোরীর প্রেমে মজেন বছর উনিশের সুরেন্দ্র। তারপর স্বপ্নের মতন কাটে বছর দুই। কিন্তু দেখতে দেখতে ছন্দপতন ঘটে ভালোবাসায়। কোনও এক তৃতীয় ব্যক্তির আগমনে সুরেন্দ্রর মন ভাঙেন সেই কন্যে।
আর এরপর থেকেই কঠোর প্রতিশোধের ব্রত নেন সুরেন্দ্র। কলেজে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অযোধ্যার রাম ঘাট চৌরা এলাকায় খুলে ফেলেন ‘বেওয়াফা সাথী চা ওয়ালা’ নামে একটা চায়ের দোকান। যেখানে চা খেতে আসা কপোত কপোতীদের গর্দান না গেলেও প্রেমের শাস্তি স্বরূপ গুনতে হয় অতিরিক্ত মাসুল। উল্টোদিকে প্রেমে ছ্যাঁকা খাওয়া মানুষদের জন্য আবার রয়েছে দেদার ডিসকাউন্ট। ভাঙা মন নিয়ে চা খেতে এলে দিতে হয় মাত্র ১০ টাকা। কিন্তু কী নিয়ম বিবাহিত যুগলদের জন্য? সুরেন্দ্রর কথায় ‘শাদি বরবাদি হ্যা’। তাই বিয়ের পর প্রেমের আশা আর থাকে না। ফলে বিবাহিতদেরও ছাড় দিতে কোনওই আপত্তি নেই তাঁর।
বলিউডের শেখানো ভালোবাসার ছকে সবাই যখন নিজেদের আঁটাতে ব্যস্ত, ঠিক তখনই বাস্তবের রাজকুমার রাও হয়ে প্রেমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ হাঁকেন সুরেন্দ্ররা। মজার ছলে হলেও বুক ভাঙা দুঃখের কথা বলে চলেন রোজ। কেউ শোনে, কেউ বা আবার চায়ের মাটির ভাঁড়টার সঙ্গে ছুঁড়ে ফেলে দেয় সব অনুভূতি। কীই বা করার ‘দিল তো পাগল হ্যায় জি’।
Discussion about this post