মহাকাশ নিয়ে গবেষণার শেষ নেই, অজানা কে জানার লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা, নতুন আবিষ্কারের নেশায় ছুটে চলেছেন তারা। বহু রহস্যের সমাধান অবশ্য সম্ভব হয়েছে তাদের হাত ধরেই। সম্প্রতি নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপে সাইকি ১৬ ( Psyche 16 ) নামে একটি রহস্যময় গ্রহাণু ধরা পড়ে। সৌরজগতের মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মাঝের গ্রহাণুপুঞ্জ বলয়ে থাকা এই আশ্চর্যময়ী গ্রহাণুটি মহাকাশের রত্ন ভান্ডার বলা যেতে পারে। 210 কিলো মিটার ব্যাসের এই গ্রহাণুটি তৈরি হয়েছে অতি মূল্যবান ধাতু দিয়ে যেমন সোনা, প্লাটিনাম, লোহা এবং নিকেল। বিজ্ঞানীদের মতে গ্রহাণুপুঞ্জ বলয়ে থাকা অনেক গ্রহাণুতে লোহা, নিকেল, সোনা রয়েছে তবে সাইকি ১৬-তে যে পরিমাণ মূল্যবান ধাতু রয়েছে তার মোট মূল্য পৃথিবীর অর্থনীতির থেকে অনেক বেশি। খাতায় কলমে এই মূল্য দাঁড়াবে ১০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ ডলার যা বিশ্ব-অর্থনীতির তুলনায় সাইকি-১৬ কে ৭০০০০ গুণ বেশি মূল্যবান করে তোলে।
এছাড়াও,এই গ্রহাণুটি একটি প্রোটো-প্ল্যানেট হতে পারে। গবেষকরা বলেছেন, “পৃথিবীর যেমন একটি ধাতব মজ্জা, একটি আচ্ছাদন এবং একটি ভূত্বক রয়েছে। সম্ভবতঃ এই প্রোটো-প্ল্যানেট সাইকি ১৬ তৈরির সময় সৌরজগতের অন্য কোনও বস্তুর সঙ্গে সংঘাত ঘটিয়ে তার আবরণ ও ভূ-ত্বকটি হারিয়েছে।” এছাড়াও জানা গিয়েছে, গ্রহাণুটির চারপাশের কক্ষপথে একটি মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন নাসা কর্তৃপক্ষ। সাইকি ১৬ নামের ওই মহাকাশযানটি ২০২৬ সালে গ্রহাণুতে পৌঁছে যাবে, যার কাজ শুরু হবে ২০২২ সালে।
প্রতিবেদনে কুনাল বিশ্বাস
Discussion about this post