আজ্ঞে হ্যাঁ, শিরোনামটি ঠিকই দেখেছেন। আসামের শিলচরের এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ঠিক এমনটাই নাকি ঘটেছে। ইতিমধ্যেই ছবিটি ভাইরাল ফেসবুক সহ সামাজিক মাধ্যমগুলিতে। যেখানে দাবী করা হচ্ছে রীতিমত এক ছাত্রের স্কুলের ডায়েরিতে অভিযোগ হিসেবে বাংলায় কথা বলার বিষয়টি লেখা হয়েছে, পাশাপাশি করা হয়েছে ২৫০ টাকা জরিমানা।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন, এভাবে মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য সরাসরি জরিমানা করা উচিৎ হয়নি। পাশ্চাত্য শিক্ষায় অনুপ্রাণিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলির নিজস্ব আদব কায়দা থাকতেই পারে। কিন্তু ছাত্র ছাত্রীরা যেখানে দেশের ভবিষ্যৎ। কাজেই নিজের মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা করার বদলে ঘেন্নার পাঠ দেওয়া কি ঠিক?
ডেইলি নিউজ রিলের তরফে যোগাযোগ করা হয় বাংলার সঙ্গীত শিল্পী কবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তিনি নিজেও কলকাতার এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক। কবীর জানান, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল দাবী করতেই পারেন ইংরেজি শিখতে উৎসাহিত করাই তাদের লক্ষ্য। কিন্তু মনে রাখা দরকার একটি ভাষা শিখতে উৎসাহিত করা মানেই অন্য ভাষাকে অবহেলা করা নয়। তাই মাতৃভাষায় কথা বলার জন্য জরিমানার অভিযোগ যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
পুনশ্চঃ- আসামের শিলচরের সেই স্কুলের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ স্থাপন করতে পারিনি। তাই নীতিগত কারণেই স্কুলের নামটি উল্লেখ করা হল না প্রতিবেদনে।
Discussion about this post