দু’মাস ধরে রোজগারের মুখ দেখেনি এশিয়ার বৃহত্তম হাট। মঙ্গলা হাট সহ গার্মেন্টস নগরী মেটিয়াবুরুজ এই মুহূর্তে প্রচণ্ড খারাপ পরিস্থিতির সঙ্গে অসম লড়াই লড়ছে। ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হাওড়া, দুই ২৪ পরগণা, হুগলি, মেদিনীপুর সহ দক্ষিনবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকার লাখ লাখ দর্জি, ওস্তাগার, হোল সেলার, রিটেলারের জীবন-জীবিকাই আজ প্রশ্নের মুখে।
চৈত্র সেল, পয়লা বৈশাখ থেকে শুরু করে ঈদ পর্যন্ত বাংলার এই দর্জিদের বানানো পোষাক ভারতের ৮৫% মধ্যবিত্ত সহ এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর লকডাউনের কারণে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত জোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। দর্জিরা সামান্য কিছু পুঁজি জমিয়ে হাটে গদি লিজ নিয়ে ব্যবসা করছিলেন।এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের মাইনে দিতে গিয়ে টান পড়েছিল তাদের শেষ সম্বলে। এই মুহূর্তে আমফানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাদের বাড়ি ঘরের। কাজেই বেঁচে থাকা শেষ পুঁজিটুকুও ঘর মেরামতির কাজে শেষ।
এই ব্যবসার সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে উঠে আসবে বেশ কিছু তথ্য। এই সেক্টর সারা বছর ধরে যেভাবে নিয়মিত রাজ্যের অর্থনৈতিক কাঠামোকে মজবুত করে থাকে তাতে এই ব্যবসায়ীরা যে বাংলার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। অন্য দিকে একই রকম দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন অসংখ্য তাঁতী। নদীয়ার শান্তিপুর ও ফুলিয়া তাঁত কেন্দ্র আজ বন্ধ। তাঁতীরা তাদের তাঁত বিক্রি করতে পারছেন না, মহাজনদের থেকেও মিলছে না সঠিক মজুরি। আগামী দিনে কাজ করার পুঁজি খরচ হয়ে যাচ্ছে খাবার এবং নিত্য-প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতেই।
Discussion about this post