যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনেই মহা সমারোহে পালিত হয়েছে দীপান্বিতা কালীপুজো। সেই উৎসবের রেশ বজায় রেখে পালিত হবে ভাইফোঁটাও। কিন্তু তারই মাঝে বাঙালির ‘তেরো পার্ব্বণ’-এর আর এক পার্ব্বণের কথা ভুলে গেলে কি চলে? অমাবস্যা তিথির পরের দিন, অর্থাৎ আজ গোটা বাংলা জুড়ে পালিত হচ্ছে অন্নকূট উৎসব!
মূলতঃ রাধাকৃষ্ণ জীউর স্মৃতির উদ্দেশ্যে পালিত হয় এই অন্নকূট উৎসব। তবে বাংলার বেশ কিছু জায়গায় অন্যান্য দেবদেবীকে উৎসর্গ করেও এই উৎসব পালিত হয়ে থাকে। নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই মূল প্রসাদ হিসেবে নিবেদন করা হয় ভাত। কথিত আছে, যে মানুষ ওই ভাত প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করেন, তাঁর জীবনে কোনোদিন অন্নসংস্থানের অভাব হয় না!
প্রতি বছর নবদ্বীপে মহা ধুমধাম সহকারে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর অন্নকূট মহোৎসব পালিত হয়। এছাড়াও মেদিনীপুরের বাগড়ি কৃষ্ণনগরেও পালিত হয় এই উৎসব। শুধু তা-ই নয়, এই অঞ্চলে অন্নকূট উৎসব উপলক্ষ্যে বসে মেলাও। পাশাপাশি কলকাতার কুমোরটুলি, বাঁকুড়ার সোনামুখী, শ্রীরামপুরের চাতরা সিদ্ধেশ্বরী তলা ও বর্ধমানের দেনুড়ের অন্নকূট উৎসবও প্রতি বছর নজর কাড়ে গোটা বাংলার মানুষের!
চিত্র ঋণ – শান্তনু মালিক
Discussion about this post