মানুষ সর্বভুক। মাছ, মাংস,ডিম, শাক, সবজি কোনোটাই বাদ যায় না। মাংসেরও অনেকরকম ভাগ আছে আবার। মুরগির মাংস, খাসির মাংস তো খুব সাধারণ। এছাড়াও আছে হাঁসের মাংস, হরিণের মাংস, কচ্ছপের মাংস, সাপের মাংস ইত্যাদি। যদিও কিছু কিছু প্রাণীকে রক্ষা করার জন্য তাদের মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেসব কথা না হয় থাক! জানেন কি শামুকের মাংস হয়! হ্যাঁ, ওইটুকু প্রাণীর মাংসকেও মানুষ খেতে ছাড়েনি। তবে সব জায়গায় কিন্তু তা পাওয়া যায় না। শামুকের মাংস খেতে হলে, যেতে হবে শঙ্খ দ্বীপে। এবার নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে, কোথায় এই দ্বীপ, তার আসল নামই বা কী!
ক্যারিবিয়ান এলাকার ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপসমূহের পূর্বদিকের দ্বীপ এ্যানিগাডা। বিশ্বের যেসব পর্যটক শামুকের মাংস খেতে পছন্দ করেন তারা এই এলাকায় ভিড় করেন। কিন্তু কীভাবে ঘটলো এই ঘটনা? উত্তর খুব সহজ। দুইয়ে দুইয়ে চার। এই দ্বীপের জেলেরা হাজার হাজার বছর দিয়ে শামুক ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন। কারণ সেখানে শামুকের চাহিদা প্রবল। আর এই শামুকের খোসার বেশিরভাগই তারা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলেন। নষ্ট করার থেকে কাজে লাগানো বুদ্ধিমানের কাজ। আর বুদ্ধির পরিচয়ই দিয়েছেন এ্যানিগাডার জেলেরা। বলার অপেক্ষা রাখে না ঠিক এভাবেই এই কৃত্রিম শঙ্খ দ্বীপটি তৈরি হয়ে গেছে।
জানলে অবাক হবেন! এই শঙ্খ দ্বীপে ১২৪৫ সালের শামুকের খোলসও রয়েছে। ভাবা যায় বলুন দেখি। ওইজন্যই এতো মানুষ ছুটে যান এই দ্বীপে। বড়ো অদ্ভুত এই পৃথিবী। তার চেয়েও বেশি অদ্ভুত পৃথিবীর মানুষ গুলো। সবকিছুকেই যেন কাজে লাগাতে পারে, আবার ধ্বংসও করতে পারে। আপাতত এই দ্বীপে সৃষ্টির নমুনাই পাওয়া যাচ্ছে। ধ্বংস অনেক দূরে কি বলেন!
Discussion about this post