নরমে-গরমে সাদা, গোলাকৃতি মিষ্টান্ন। যা মুখে দিলেই গালে যেন রসের হাসি ফুটে ওঠে। সেই রসালো হাসিই এবার করোনা রুগীর ভোজন পাতে। করোনা খাবারের ইচ্ছাশক্তিকে একেবারেই কেড়ে নিয়েছে। অপছন্দের খাবার তো বটেই, সুস্বাদু পচ্ছন্দের খাবারও রোগীর মুখে ঠাঁই পাচ্ছে না। যার ফলে প্রোটিন, প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরে ক্রমশঃ কমে আসছে। এ বিষয়ে ডঃ প্রণব বাজপেয়ী বলেছেন যে করোনা রোগীর অধিক প্রোটিন দরকার। নিরামিষাশীদের জন্য রসগোল্লার মতো ভালো পথ্য নেই।
যেখানে দিনে ১২ টি রুটি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা সেখানে রুটিতে নাক সিঁটকাচ্ছেন দুর্বল রোগী। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে হাসি মুখে জয় করছে রসগোল্লা। ২ টি রুটির সমান ১ টি রসগোল্লা। ইতিমধ্যেই তা চেখে দেখেছেন ইন্দোরের অ্যাপোলো হাসপাতালের বেশকিছু করোনা রুগী। ভিনদেশীদের জয়জয়কার দেখে মহিমা প্রচার শুরু করেছেন সর্বভারতীয় মিষ্টি ব্যবসায়ী সংগঠন ‘ফেডারেশন অফ সুইট অ্যান্ড নামকিন ম্যানুফ্যাকচারস্।’
রসগোল্লার উদ্ভাবক নবীন ময়রার পুত্র কৃষ্ণচন্দ্ৰ দাশ। সেই কে.সি দাশ সংস্থারই কর্ণধার ধীমান দাশ জানান, শুধুই যে প্রোটিনের জন্যই রসগোল্লার নাম ডাক তা নয়। ছানা থাকায় পটাশিয়াম রক্তচাপ, ম্যাগনেশিয়াম থাকায় শর্করা নিয়ন্ত্রন করে। সাথে হজমেরও উপকারি। রসগোল্লা নিয়ে ওড়িশা-কলকাতার দ্বন্দ্ব এখন করোনা রোগীর ডাইনিং টেবিলে। ১৪ নভেম্বর বা ৩০ জুলাই যেদিনই হোক না কেন রসগোল্লার আবিষ্কার। এই ভয়াবহ দুর্দিনে মাথা তুলে দাঁড়াতে তো পেরেছে মানুষ। সুদিনের স্বপ্ন দেখাতে পেরেছে একটি সাদা রসের গোল্লা। যেখানে ডায়াবেটিক রসগোল্লাকে বিষ আখ্যা দেয়, আজকের ভিনদেশীরাও সেখানে রসনায় তৃপ্ত। শেষ পাতে আবারও মান পেল রসে টইটম্বুর তুলতুলে রসগোল্লা।
Discussion about this post