এই একুশ শতকের গোড়াতে দাঁড়িয়েও কন্যা সন্তান হলে অনেক পরিবারেরই হয় মুখ ভার। ‘ছেলে হয়েছে’ বলা আজও যতটা গর্বের, ‘মেয়ে হয়েছে’ বলার মধ্যে সেই উচ্ছ্বাস থাকেনা। কারণ একটাই, আমাদের সমাজ। এছাড়াও রোজই প্রায় খবরের শিরোনামে কমবেশি উঠে আসে ধর্ষণ, কন্যা ভ্রুণহত্যা, নারী নির্যাতনের খবর। আর ঠিক এই সময়েই ঢাক ঢোল পিটিয়ে উৎসব করে, সোচ্চারে মেয়ে হওয়ার সুখবর জানালেন বালুরঘাটের লাহা দম্পতি।
মেয়ে যে অবহেলার পাত্র নয় সেই বার্তা ছড়িয়ে দিতে নিলেন অভিনব উদ্যোগ। কন্যাসন্তানের বাবা হওয়ার আনন্দে বিনা খরচে অসুস্থ মানুষের রক্তের যাবতীয় পরীক্ষার আয়োজন করলেন বালুরঘাটের প্যাথলজি সেন্টারের মালিক প্রমিত লাহা। শুধু তাই নয়, উলুধ্বনি পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে সদ্যোজাতকে বরণ করে নেন লাহা দম্পতি। জানা গিয়েছে, লাহা দম্পতির এই উদ্যোগে সমগ্র বালুরঘাটের প্রায় ৩০০ এর বেশি মানুষকে বিনামূল্যে রোগ নির্ণয়ে রক্তপরীক্ষা সহ আরও একাধিক পরীক্ষা করে দেওয়া হয়েছে।
আসলে বাবা-মায়ের কাছে সন্তানের কোনও লিঙ্গ হয়না। ছেলে বা মেয়ে হওয়ায় আনন্দের যে হেরফের হতে পারেনা এই বার্তাই ফের নয়া ভঙ্গিতে পৌঁছে দিলেন প্রমিত লাহা এবং তার স্ত্রী প্রিয়া লাহা। এই বিষয়ে প্রমিত লাহা জানান, “কন্যার বিয়ে অর্থাৎ বিদায়ের সময়ই সকলে অনুষ্ঠান করে। কিন্তু আমার মনে হয় বিদায়ের অনুষ্ঠান নয়, কন্যাকে আগমনীর সময় বরণ করা উচিৎ। কারণ নারী না থাকলে পৃথিবীতে যে সৃষ্টি নামক শব্দটিই থাকত না”।
Discussion about this post