বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতি এবং লকডাউনের মধ্যেই স্নাতকোত্তর স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। চলতি মাসের ২৪ এবং ২৭ তারিখ যথাক্রমে পদার্থবিদ্যা এবং ভূ-প্রকৃতিবিদ্যা (জিও ফিজিক্স) বিষয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। তাতেই জন্মেছে ক্ষোভ। বর্তমান পরিস্থিতিতে সঠিক সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে আদৌ কি পৌঁছনো যাবে, তা নিয়েই তোপের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়।
করোনার দাপটে পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা দেশেই বন্ধ ট্রেন চলাচল। এমনকি বাস বা অন্য কোনও পরিবহন ব্যবস্থাও সঠিক ভাবে মিলছে না এই মূহুর্তে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আগামী ২৪ এবং ২৭ আগস্ট কীভাবে সকাল সাড়ে ৮ টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবেন বিভিন্ন পরীক্ষার্থীরা? এই প্রশ্নই এখন মুখে মুখে ফিরছে তাদের। সেক্ষেত্রে ট্রেন বা বাসের সঠিক পরিষেবা ছাড়া তাদের পক্ষে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোও সম্ভব হবে না। ইতিমধ্যেই অনেক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিটও চলে এসেছে।
তাদেরই একজন কলকাতার শালিনী মাজি। বর্তমানে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। ‘ডেইলি নিউজ রিল’কে তিনি জানান, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল নাগাদই শুরু হয়েছিল বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির ফর্ম পূরণের কাজ। সেসব শেষ হলে চলতি মাসেই পড়েছে পরীক্ষার তারিখ। অথচ বর্তমানের টালমাটাল পরিস্থিতিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার মত উপযুক্ত বিকল্প তাদের হাতেও নেই। এই অবস্থায় ঠিক কী করবেন তারা?
শালিনী এও জানান, অভিযোগ জানানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দূরভাষের মাধ্যমে বারবার যোগাযোগ করা হলেও প্রথমে নাকি কোনও উত্তরই মেলেনি। এমনকি এরপর পরীক্ষা নিয়ামকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি এ বিষয়ে কোনও সদুত্তরই দিতে পারেননি। এই অবস্থায় পরীক্ষার্থীদের দাবী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যেন কোনও ব্যবস্থা নেয়। তা যদি না হয় তবে হয় পরীক্ষার তারিখ বদলানো হোক অথবা তাদের ফর্মের টাকা ফেরত দেওয়া হোক। প্রয়োজনে গণ ইমেলের মাধ্যমেও কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে তাদের অসুবিধার কথা, এ কথাও জানিয়েছেন শালিনী। ‘ডেইলি নিউজ রিল’-এর তরফে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি।
Discussion about this post