পুরুলিয়া নামটা শুনলেই মনে আসে অযোধ্যা পাহাড় না হলে বড়ন্তী এই দুটি নাম। আজ আমি আপনাদের সাথে একটু অন্য একটি নামের পরিচয় করিয়ে দেব। হয়তো অনেকে শুনে থাকবেন আবার হয়ত অনেকেই শোনেন নি তবে কথা দিলাম জায়গাটি দেখার পর একবার হলেও আপনার মনে হবে যাই ঘুরে আসি।
নাম দোলাডাঙ্গা। নামটি খুব পরিচিত নাও হতে পারে আবার পারেও। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার গ্রামীণ অঞ্চলে অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম। মুকুটমণিপুর বাঁধের ঠিক বিপরীতে সবুজ বনের মাঝে এই ছোট্ট গ্রামটি। সুন্দর কংসবতী এবং উপজাতীয় জীবনের সরলতা যদি পেতে চান আপনাকে এখানে আসতেই হবে একবার। প্রকৃতির নির্মলতা ছাড়াও, এই দোলাডাঙায় আরও অনেক কিছু রয়েছে। লেকে নৌকো থেকে শুরু করে উপজাতি নৃত্য এবং জঙ্গলের হাঁটাচলা। এ সব কিছুই দোলাডাঙাকে আপনাকে নতুন কিছু অনুভব করাবেই করাবে। সোনাঝুরি বনের মাঝখানে অবস্থিত চারিদিকে শুধু জঙ্গল আর লেক। লেকের মধ্যে আবার অনেক দ্বীপ। দূরে দিগন্তে হাতির পিঠের মতো উঁচু-নিচু পাহাড়. খোলা আকাশ আর আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ মালভূমি। বাইরের দিকে তাকালেই মন ভরে যাওয়ার মতো প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য। আকাশের রঙে মিলেমিশে লেকের জলের রঙ কখনও নীল, কখনও লাল, কখনও ভয়ঙ্কর কালো কুচকুচে। চারিদিক পাখির কলতান আর হাওয়ার শব্দ।
যাবেন কীভাবেঃ
কলকাতা থেকে গাড়িতে বা বাসে-ট্রেনে বাঁকুড়া. বাঁকুড়া থেকে খাতড়াগামী যেকোনো বাসে নামতে হবে হাতিরামপুর। হাতিরামপুর থেকে যেতে হবে মানবাজার। মানবাজার বাস স্ট্যান্ড থেকে ই-রিক্সা বা গাড়িতে করে দোলাডাঙ্গা গ্রাম।
কাছাকাছি কোথায় কী দেখতে পারেন? মাথাবুরু পাহাড় (অযোধ্যা): ৭৮ কিলোমিটার ঝিলিমিলি: ৫০ কিমি। বিষ্ণুপুর: ১০০ কিলোমিটার গড়পঞ্চকোট: ৯৫ কিমি মুকুটমণিপুর : ১৫ কিলোমিটার (রুটে ফেরি রয়েছে)
চিত্র ঋণ – অয়ন এবং সব্যসাচী
Discussion about this post