ঈদ যত এগিয়ে আসছে বেড়ে উঠছে উচ্ছ্বাস মুসলিমদের মধ্যে কেনাকাটা ঘিরে। এক মাস ধরে অর্ধদিবস নির্জলা উপবাসের শেষে ঈদের অপেক্ষা থাকে প্রতি বছর। সাধ ও সাধ্যের ফারাক যথাসম্ভব ভুলে ঈদের প্লাবনে ভেসে যান আবালবৃদ্ধবনিতা। শহরের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম ব্রাইট স্ট্রিট প্রতিবছরের ন্যায় তাই সেজে উঠেছে আলোর রোশনাইয়ে। শহরের অন্যতম বড় শপিং মল কোয়েস্ট’র পেছনেই বসেছে এই আনন্দমেলা। পাওয়া যাচ্ছে পোশাক, প্রসাধনী, জুতো-চটির সঙ্গে বাহারি খাবার দাবার ন্যায্য দামে। এলাকার শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার্থে গঠিত আমন অ্যাসোসিয়েশন ফি বছর দায়িত্বে থাকে এই জমজমাট ঈদ বাজারের পরিচালনায়। চলতি বছরও মহা উৎসাহে সেই ধারাটি বজায় রেখেছে শান্তি সমিতিটি।
ইফতারকে কেন্দ্র করে শামসুল হুদা রোডের দু’পাশ ধরে রয়েছে অসংখ্য স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকানের সারি। রঙিন জামাকাপড়, নামাজ টুপি, লুঙ্গি ও কুর্তা পাজামার পাশাপাশি মেয়েদের হিজাব, সালোয়ার কামিজ ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে ন্যায্য দামে। ঈদ উপলক্ষে মেহেন্দি, সুরমা ও আতরের দোকান যেমন ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে ব্যস্ত, ঠিক তেমনই মহিলা ক্রেতাদের অন্যতম পছন্দ কাচের চুড়ি ও কস্টিউম গয়নার দোকান। ঈদের মিলনোৎসব শিশুদের উপহার পাওয়ার বিশেষ দিন। সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের জন্য নানা রকমের খেলনা। সব মিলিয়ে ঈদের বাজার এক্কেবারে জমজমাট।
উৎসবের সঙ্গে খানাপিনার একটা নিবিড় যোগাযোগ লক্ষ্য করা যায় সংস্কৃতির ইতিহাসে আলোকপাত করলে। ঈদ উপলক্ষ্যে মিষ্টির দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে সিমুই, ফিরনি, করাচি হালুয়া, লৌজের মতো সনাতন ইসলামী মিষ্টি। ব্রাইট স্ট্রিটের ব্যস্ত এলাকার রাস্তা জুড়ে দু পাশে রয়েছে বেশ কিছু কাবাব-কোর্মা-বিরিয়ানি ও রোলের দোকান। সঙ্গে রয়েছে সুস্বাদু হালিম ও নিহারীর আয়োজন। ইফতারের আবহে ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন দোকানিরা। তেলেভাজা ও ছোলার ঘুগনি পাশাপাশি ফলের রস ও রকমারি শরবতের আয়োজন খাদ্য রসিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বাধ্য। স্থানীয় ব্যবসায়ী শেখ মিরাজ বলেন প্রতিদিন ইফতার শেষে ঈদ বাজারে ভিড় বেড়ে যায়। তবে চাঁদরাতে ঈদের বাজারে নামে জনজোয়ার। কেনাকাটা চলে ভোর রাত অবধি।
Discussion about this post