কোনো কিছুর শুভ সূচনায় মিষ্টিমুখই হল সু-সম্পর্কের বাঁধন অটুট রাখার এক অনন্য মাধ্যম। চকোলেট যে শুধু একটি দিনের পরিপ্রেক্ষিতে উদযাপন হয় তা নয়। আমাদের ছেলেবেলার কত স্মৃতি, কত আবদার নিয়ে এই মিষ্টি জিনিসটি স্মৃতির ফলক হিসেবে থেকেই যায়। তবে আজ আমরা আমাদের প্রিয় চকলেটের স্বাদ খুঁজব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক সকালে। আপনারা অনেকেই হয়তো দেখে থাকবেন রোমান পোলানস্কির এক অনবদ্য সৃষ্টি ‘দ্য পিয়ানিস্ট’ সিনেমাটির মাধ্যমে স্পিলম্যানের এক জীবন কাহিনীর প্রতিফলন। আমরা তারই একটি বিশেষ দৃশ্যে দৃষ্টিপাত করবো।
স্থান পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ’র একটি নাৎসী কনসেনট্রেশন ক্যাম্প। সালটা ১৯৪২, বিশ্বযুদ্ধের দামামায় যখন ইউরোপ জ্বলছে, জ্বলছেন ইহুদীরাও। তখন এক গৃহছাড়া ইহুদি পরিবার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চকোলেট ভাগ করে খাচ্ছে। এক বাবা তার পরিবারকে আগলে রেখেছেন ছায়ার মতো। তার জমানো শেষ পুঁজি দিয়ে চড়া দামে কেনা সেই অমূল্য সম্পদ ভাগ করে নিচ্ছে পরিবারের ছয় জন সদস্যের সাথে। তারা সকলেই জানে তাদের মৃত্যু আসন্ন তবু বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছে, প্রত্যেকের নির্লিপ্ত চাউনি খুঁজছে যুদ্ধের শেষ দিন।
তাদের জীবনের একসাথে খাওয়া শেষ দিন এবং ভাগ করে নেওয়ার শেষ মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে রইলো একটি চকোলেট। সেই দিন টিকে তারা যেভাবে একটি চকোলেট দিয়ে উদযাপন করেছিল তা সত্যিই বর্তমান সময়ে সকল মানুষের হৃদয়ে কম্পন সৃষ্ঠি করে। একটি চকোলেটও অন্ধকার থেকে আলোর সঞ্চার ঘটাতে সক্ষম।
Discussion about this post