ইফতারের খাবার হিসেবে শরবত জাতীয় পানীয় গ্রহণ করা হয়। এছাড়া পেঁয়াজি, ছোলা, চপ, বেগুনি এবং ডাল ও মাংসের মিশ্রণে তৈরি পুষ্টিকর খাবার হালিমও খাওয়া হয়ে থাকে। আর এই ইফতারের সময়ে উৎসবের চেহারা নেয় হাওড়ার বাঁকড়া বাজার। হাওড়ার বাঁকড়া এলাকায় মূলত: মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষরাই বসবাস করেন। কিন্তু এই বাজার প্রসিদ্ধ ব্যবসাকেন্দ্র হওয়ায় এখানে সকল ধর্মের মানুষেরই আনাগোনা দেখা যায়। ইফতারের সময় এই বাজার ভরে ওঠে মানুষের ভিড়ে।
সূর্যাস্তের পর ইফতার হলেও, বাজার খোলা থাকে সারাদিন। দোকানে দোকানে বিক্রি হয় নানা ধরনের ফল। তরমুজ, পেঁপে, আনারস, কলা এবং নানা ধরনের লেবুর পাশাপাশিও বিক্রি হয় বিভিন্ন বিদেশি ফল। ড্রাগন ফ্রুট, প্যাশন ফ্রুট, কিউই এবং পার্সিমনের মতো ফলও বিক্রি হয় বাজারে। শুধু ফল না, এই সময় বিভিন্ন নোনতা জলখাবারের দোকানেও উপচে পড়ে ভিড়। এছাড়াও ইফতারের বিশিষ্ট কিছু খাবার, যেমন সিমুই, লাচ্চা পরোটা এবং হালিমের দোকানগুলিতেও লাইন পড়ে যায়।
মুসলিমদের পাশাপাশি এই সময় হিন্দুরাও এই বাজারে কেনা কাটা আসেন। হিন্দু দোকানগুলিতে বিক্রি হয় পিঁয়াজি, বেগুনি, জিলিপি ইত্যাদি। শুধু তাই নয়, উত্তর ভারতের বিখ্যাত এক গুজরাটি অভিজাত হিন্দু মিষ্টি এবং ভুজিয়ার দোকানও এইসময়ে ইফতারের প্রচার করে এবং বিভিন্ন মিষ্টি ও নোনতা খাবারও বিক্রি করে। এভাবেই বাঁকড়া বাজার ইফতারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের সমন্বয়ের এক নিদর্শন সৃষ্টি করে।
Discussion about this post