পিঠে বাঙালির শীত কালের অন্যতম আকর্ষণীয় খাদ্য। ভোজন রসিক বাঙালির শীতকাল কাটে নানা ধরণের সুস্বাদু পিঠের স্বাদ আস্বাদনের মাধ্যমেই। পুলি-ভাপা পিঠে থেকে পাটিসাপটার মতো সুস্বাদু পিঠে তৈরী হয় বাঙালির ঘরে ঘরে। পিঠে কে ঘিরে বিভিন্ন ধরণের মেলা ও আয়োজিত হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে এবার রাষ্ট্রীয় বেড়াজাল পাড় করে প্রবাসী বাঙালিদের হাত ধরে বাংলার ঐতিহ্য বাহী পিঠা পৌছে গেলে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে সুদূর জাপানে।
জাপানে সারা বছর জুড়ে যত পার্টি থাক না কেন, বছরের শুরুতে নিউ ইয়ার পার্টি এবং বছর শেষে ইয়ার ইন্ডিং পার্টি জাপানের বিশেষ আকর্ষণ। মালিকের খরচে অনুষ্ঠিত হওয়া বছরের এই দুই পার্টিতে মালিক, কর্মকর্তারা একসাথে উপভোগ করেন বছরের শেষ ও শুরু। সেই সঙ্গে বেতন ও বোনাসের বাড়ার ব্যপারও থাকে। তবে নিয়মের গন্ডি ভেঙে ইংরেজি নতুন বছর শুরুর সাথেই দেশের মতো বিদেশের মাটিতেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজনে পালিত হল পিঠা উৎসব।
জাপানের রাজধানী টোকিওতে গত জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয় পিঠে উৎসব। ‘আমরা ফরিদপুর বাসী,জাপান’ ব্যানারে এই পিঠা উৎসবের আয়োজক ছিলেন সেখানে বসবাসকারী ফরিদপুরের মানুষেরা। এছাড়াও এই উৎসবের আয়োজনে যুক্ত ছিলেন এমদাদ হোসেন (মালিক, প্রবাসী হালাল ফুড), ইঞ্জিনিয়ার মহঃ একলাছ উর রহমান, আনোয়ার মিলন (বিশিষ্ট গইড় ব্যবসায়ী), জিয়াউর রহমান বাবু, হাসনান আহাদ, রনি রহমান, জাপানস্থ গ্রেটার ফরিদপুর সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সহ আরো অনেকে। টোকিও’র ইকেবুকোর কমিউনিটি হলে এদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্তু চলে এই পিঠা উৎসব।
অনুষ্ঠানের দিন সবাই যার যার বাড়িতে বানানো পিঠা ও কিছু আঞ্চলিক খাবার নিয়ে আসেন এই মেলায়। এছাড়াও বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী আরিফ ইকবাল লুবুর পরিবেশনায় পুরানো দিনের গান গুলি মুগ্ধ করে সকল আগত অতিথিদের। আয়োজকদের মতে, “বহু সংখ্যক মানুষের স্বতস্ফূর্ত সমাগম হয় এই মেলায়। এবছর স্বল্প পরিসরে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলেও প্রবাসী বাঙালিদের ছেলেমেয়েরা এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পেল। দিনটিকে স্মরণীয় করে তুলতে এদিন ই তারা অঙ্গীকার করেন, জাপানে বসবাসরত ফরিদপুরের প্রবাসীরা সুখ দুঃখে সবার পাশের থাকার ও ফরিদপুর জেলা থেকে জাপানে আগতদের প্রয়োজনে সব রকম সাহায্য করার।
Discussion about this post