স্বাধীন দেশ হতে পারে, স্বাধীন ভূমি হতেই পারে। তবে ব্যক্তি স্বাধীনতা কথার অর্থ সময়তে ভুলে যাওয়াই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন। আর নারীর প্রসঙ্গ হলে তো কোনো কথাই নেই। একজন একজন করে স্বাধীনতার অভাবী ব্যক্তি মিলেই কোথাও গিয়ে যেন তৈরি হয়েছে পরাধীন এক মানব সমষ্টি। মেয়েরা কী পরবে কী পরবে না তা নির্ধারণ করার অধিকার নেই ইরানের মেয়েদের। আর তাই হিজাবের বিরুদ্ধে, পিতৃতান্ত্রিক চোখ রাঙানীর বিরুদ্ধে আন্দোলন হাজার হাজার নারীর। এ আন্দোলনের ভাষা আলাদা। মাথার চুল কেটে পতাকা বানিয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে টাঙিয়ে দিচ্ছেন তারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইরানী যুবতী মাশা আমিনিকে হিজাব খুব ঢিলেঢালা পরার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়। রাষ্ট্রীয় নির্যাতনে খুন হন তিনি চলতি মাসেই। বছর বয়সী ইরানি তরুণী মাশা আমিনিকে তার হিজাব খুব ঢিলেঢালা পরার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারপরেই ইরানের রাজপথের দখল চলে যায় মেয়েদের হাতে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ৯ জন বিক্ষোভকারী নারীকে হত্যা করেছেন। কিন্তু এ ঘটনায় মেয়েরা বিন্দুমাত্র ভয় পাননি। মোটেই ভীত হয়নি। বরং ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন অনেকেই। প্রতিবাদ একেবারে তুঙ্গে। ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ব্লক হলেও ভিপিএন ব্যবহার করে রাস্তায় একজোট হচ্ছেন তারা।
রাস্তায় পুলিশের লাঠি আর গুলির সামনে দাঁড়িয়েই নিজের হিজাব খুলে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন তারা। এ যেন এক অন্য রকম ইরান। ঠিক যেন এক নতুন ভোরের সূচনা। ধর্মীয় রাষ্ট্রের ধারণা থেকে অসুস্থ ইরানকে সুস্থ করে তোলার লড়াইয়ে সংহতি জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই বিশ্ববাসী। নতুন অধিকারের স্বপ্ন নিয়ে এক নতুন শুরুর অপেক্ষায় সবাই।
Discussion about this post