নিরামিষ শুনলেই মুখটা ব্যাজার হয়ে যায় তাই না? তবে নিরামিষ খাবার মানেই স্বাদের ভাগ কম, এমনটা ভাবলে কিন্তু মিস করবেন। পোলাও তো অনেকেই খেয়েছেন। কিন্তু থোড়ের পোলাও? এ স্বাদের ভাগিদার বোধহয় কম মানুষই হয়েছেন। এটি সম্পূর্ণ নিরামিষ পদ। তবে স্বাদে অতুলনীয়। চালের সাথে থোড়ের জুড়ি নেহাত মন্দ নয়। বাংলাদেশের ময়মনসিংহের উল্লেখযোগ্য জায়গা হলো কিশোরগঞ্জ। আর এ জায়গারই প্রচলিত খাবার ‘থোড় দিয়া চালের বেনুন।’ ওখানকার মা ঠাকুমাদের মুখে এই নামেই রমরমিয়ে চলে এই পদটি। আসলে ‘বেনুন’ কথার অর্থ হলো তরকারি। থোড়ের এই পদকে কেউ কেউ থোড়ের নিরামিষ পোলাও ও বলে থাকেন। এ অনেকটা ভাতের সাথে মুড়িঘন্টর মত। তবে আর কী? বরং জেনে নেওয়া যাক এই বাঙাল রান্নার রেসিপি।
থোড়ের নিরামিষ পোলাও বানাতে যা যা লাগবে – থোড়, গোবিন্দভোগ চাল, আলু, কিশমিশ, আদা বাটা, নুন, চিনি, কাঁচালঙ্কা, তেজপাতা, জিরে, দারুচিনি আর এলাচ। থোড় কেটে নুন মাখিয়ে রাখতে হবে প্রায় এক ঘন্টা। ভালো করে চটকে নিতে হবে যাতে পুরো কষটা বেরিয়ে যায়। এরপরে কড়াতে ঘি গরম করে তাতে আলু গুলো লাল করে ভেজে তুলে নিতে হবে। তারপর জিরে, দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা ফোড়ন দিতে হবে। এরপর এটা নেড়ে নিয়ে তাতে থোড়টা দিয়ে দিতে হবে। পরিমাণ মতো নুন দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে ভালো করে। এরপর কাঁচা লঙ্কা আর সামান্য জল দিয়ে নাড়িয়ে নামিয়ে নিতে হবে থোড়ের পোলাও। এরপর ঘি ছড়িয়ে কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে পরিবেশন করলে পাতে জমে যাবে এ পোলাও।
গোটা রান্নাটা ঘি-তে করার ফলে গন্ধে সারাবাড়ি ম ম করতে বাধ্য। এই গন্ধে খিদে বেড়ে যাবে দুগুণ। কথাতেই আছে, “পহেলে দর্শনদারি, ফির গুণ বিচারী।” তো খাবার যদি দেখতে ভালো লাগে তাহলে খাওয়ার লোভ সামলানো মুশকিল। তবে আর কি, হাতের কাছে থাকা জিনিসগুলো দিয়ে চটপট বানিয়ে ফেলুন থোড়ের নিরামিষ পোলাও।
তথ্য ঋণ – সুস্মিতা মুখার্জী, চিত্র ঋণ – বঙ্গ ভিটা
Discussion about this post