লালবাতি, সবুজবাতি দেখতে দেখতে চোখের একঘেয়েমি কিছু কম হলো না! তাই এবার আলোর সাথে শিল্পকর্ম। শিল্পে সেজে উঠেছে ট্রাফিক সিগন্যাল। পথ দেখাচ্ছেন কার্ল মার্ক্স। আর তার সঙ্গে আছেন এলভিস প্রেসলি। জুড়ি নেহাত মন্দ নয়। জার্মানির ট্রাফিক সিগন্যাল সেজে উঠেছে নতুন শিল্পকর্মে। ট্রাফিক সিগন্যালে শিল্পকর্ম নতুন কিছু নয়। মার্ক্সের জন্মস্থান ট্রিয়ের শহরে রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেখা যায় এমনই দৃশ্য। ২০০ বছর পেরিয়েও সঠিক দিশা দেখাতে প্রস্তুত কার্ল মার্ক্স। ২০১৮ সালে কার্ল মার্ক্সের জন্মের দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে এ ব্যবস্থা চালু হয়। স্টিক ম্যানের পরিবর্তে শুরু হয় এই উদ্যোগ। পথচারীদের রাস্তা পার করার সময় সংকেত জানিয়ে দেন কার্ল মার্ক্স আর সঙ্গী এলভিস প্রেসলির ডুডল।
তবে সিগন্যাল আলোতে সীমিত থাকলেই পারতো! তাতে শিল্পের কী দরকার? এ অভিনব উদ্যোগের পেছনে রয়েছে মানুষের মনস্তত্ত্বের ওপর প্রভাব। নতুন জিনিসের দিকে চোখ যেতে বাধ্য। আর এই সিগন্যালের মাধ্যমে সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যায় পথ দুর্ঘটনা। আর এই চিন্তা মাথায় রেখেই এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন ইস্ট বার্লিনের ট্রাফিক সার্জেন্ট কার্ল পেগলউ। তিনি এই নতুন নকশার নাম রাখলেন ‘অ্যাম্পেলমেঁশিয়ে’।
রাজনৈতিক বিতর্ক থাকা স্বত্বেও এই উদ্যোগ সাড়া ফেলেছিল চারিদিকে। অন্যদিকে ফ্রিডবার্গ শহরে অনেকদিন কাটিয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী এলভিস প্রেসলি। তাই সে শহরে তার ‘রক অ্যান্ড রোল’ ধারাকে বেছে নেওয়া হয় সিগন্যালে। যেখানে তাঁকে দেখা যায় তার জনপ্রিয়’ হিপ-গাইরেটিং’ মুভে। এর অর্থ হলো ‘রাস্তা পারাপার করার সময়’। এছাড়াও জার্মানির বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যালে দেখা গিয়েছে নেইপকে। উনিশ শতকের একজন ধর্মযাজক ছিলেন তিনি। তাকে বেশিরভাগ সময়ে দেখা যেতো রাস্তার ধারের গাছ গুলিতে জল দিতে। পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতেই তার নকশা ব্যবহার করা হয়েছিল ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে।
Discussion about this post